নেতাজি
সোমা নায়েক
আঁধার পেরিয়ে বোস পরিবারে তেইশের এক ভোর
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রেখে গেছে চিরন্তন সু’খবর।
সে খবর আজও আমাদের কাছে গর্বের, ভালাবাসার
সূর্যের আলো সে খবর আজও স্বপ্ন, নতুন আশার।
জানুয়ারী তেইশ, ঠিক এই দিনে পৃথিবী মায়ের বুকে
হীরের মতোই চকমকি আলো জ্বলেছিল কোন্ সুখে,
দেবদূত হয়ে আগমন এ’ভূমে সুভাষ নামের ছেলে
এসে হেসেছিল, জয় করেছিল সবকিছু অবহেলে।
সুভাষ, তুমি নেতাজি, তুমি দাউ দাউ রং মশাল
অপ্রতিরোধ্য আগুন বলয়, হৃদয়াকারে বিশাল
তুমি প্রতিবাদী, তুমি ভীষণ কাছের নিকট আত্মীয়জন
তুমি এই ভারতের প্রতিটি ঘরের পরিবার, প্রিয় স্বজন।
নেতাজি, তুমি দামাল ছেলে, বীর সেনা এই দেশের
শত বছরের পরেও এ নাম আমাদের খুব গর্বের।
বাংলার ছেলে ভারত ছাড়িয়ে বিদেশেও নাম ডাক
রক্ত ফোঁটার বিনিময়ে তোমার স্বাধীনতা দেওয়ার হাঁক।
আজও দোলা দেয় ধমনী শরীরে, প্রতিটি শিরায় শিরায়,
জেগে উঠবার সাহসিকতায় প্রতিবাদে সাহস জাগায়।
তুমি সংগ্রামী, তুমি ইতিহাসে আঁকা জীবন চিত্র শিল্প
কত এলো গেলো তবু কেউ নেই আজও তোমার বিকল্প।
তুমি কঠিন বলয় ভেদ করে করো কল্পনা বানচাল
সিদ্ধহস্ত ইংরেজ তাই হয়েছিল বেসামাল।
অধিকার বোধ কে দেবে কাকে, স্বরাজ আমার নিজের
প্রশ্ন ছুঁড়েছো, আমারই ভূমিতে মাথা নুয়ে রাখা কিসের!
দেশপ্রেম কি, বলিদান ত্যাগে নেতাজি নামই যথার্থ
শিখিয়েছো তুমি দেশ ভালোবাসার অন্তর্নিহিত অর্থ।
মন খারাপের পাঠশালা সব সেজে ওঠে এক ভোরে
জানুয়ারী তেইশ একবারই আসে বছর বছর ঘুরে।
আজন্দ হিন্দের ডাক আসে না, নেতাজি তুমি কই!
সমাজ ঘুমিয়ে, ফিরে এসো তুমি, তোমাকেই আজ চাই।
‘দিল্লী চলো’র সেই ডাক আজও রক্তে আগুন জ্বালায়
তোমার ভাবনা, প্রতিবাদী মুখ আজ কি কাউকে ভাবায়!
অলি গলি ফুঁড়ে লক্ষ নেতার কোটি কোটি তহবিলে
নেতাজি বিহীন সময়টা যেন বিবেক গিয়েছে ভুলে
আমার দেশ তো কম কিছু নয়, না কখনো কম তা ছিল
শুধু নেতাজি বিহীন মায়ের বুকটা ছারখার হয়ে গেল।
ফিরে এসো তুমি ভারতেরই বুকে নেতাজি হয়েই আবার
স্বাধীনতা চাই স্বমহিমায় তাই খোঁজ পড়েছে আজ তোমার।
ফিরে এসো তুমি ভারতেরই বুকে নেতাজি হয়েই আবার
স্বাধীনতা চাই স্বমহিমায় তাই খোঁজ পড়েছে আজ তোমার।