‘নেহেরু যুব কেন্দ্র’, পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ
নীহারিকা মুখার্জ্জী
গড়ে ওঠার পর থেকেই সমগ্র দেশ জুড়ে বিভিন্ন দিক দিয়ে সমাজের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব পালন করে চলেছে 'নেহেরু যুব কেন্দ্র। পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটলনা।
গত ৯ ই আগষ্ট পূর্বস্থলীর 'কাষ্ঠশালী হিরো অ্যাথলেটিক ফুটবল ক্লাব'-এর সক্রিয় সহযোগিতায় এবং 'মেরা মিটটি মেরা দেশ' কার্যক্রমের অন্তর্গত পূর্বস্থলীতে একটি অনুষ্ঠান হয়। প্রভাত ফেরি, বৃক্ষরোপণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন সহ দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার এরকম ২ জন বীর সেনা জওয়ানকে সম্মানিত করা হয় ।
৯ই আগস্ট থেকে ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত নেহরু যুব কেন্দ্র সমগ্র দেশের প্রতিটি জেলাতে ‘আজাদী কি অমৃত মহোৎসব’ কার্যক্রমের অন্তর্গত ‘মেরি মিটটি মেরি দেশ’ কার্যক্রম আয়োজন করেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২৩ টি ব্লকের ২১৫ টি পঞ্চায়েত আছে। প্রতিটি পঞ্চায়েতে ৭৫ টি করে বৃক্ষরোপণ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক পঞ্চায়েত থেকে মাটি সংগ্রহ করে দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় স্মারক গঠন করার জন্য পাঠানো হবে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সেনা জওয়ান নরেশ চন্দ্র দাস, উজ্জল কুমার হাজরা, সুজিত হাজরা, শ্যামল নন্দন, অক্ষয় নাথ, দিনকর মুখোপাধ্যায় ও পি এন চ্যাটার্জীকে মরণোত্তর সম্মান প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পূর্ব বর্ধমান জেলা নেহরু যুব কেন্দ্রের অন্যতম কর্মকর্তা সুজন ঠাকুর উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান। তারপর দেশভক্তিমূলক স্লোগান দিতে দিতে প্রভাত ফেরী বের করা হয়। এরপর চুপি পাখিরালায়ের কাছে শতাধিক বৃক্ষরোপণ করা হয়।
কার্গিল যুদ্ধের বীর সৈনিক নরেশচন্দ্র দাস নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন। বিশিষ্ট সাহিত্যিক তথা রেল আধিকারিক অবনী ভূষণ বালা নিজের লেখা বইয়ের উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মনোজ মুখার্জ্জী, নিরঞ্জন মন্ডল, দিলীপ কুমার মিত্র
হরপ্রসাদ নন্দী, উজ্জ্বল কুমার হাজরা, নাবী বক্স শেখ, অসিতকুমার ভট্টাচার্য, সনৎ কুমার মন্ডল, পানকাশ রায, কার্তিক চন্দ্র ঘোষ, রানা রায়, অর্জুন বাগ সহ আরও অনেক বিশিষ্টজনেরা। স্থানীয় যুবক-যুবতীরা উৎসাহের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।