পঞ্চায়েতের ভোটে মহিলারাই যথেষ্ট,বীরভূমে মহিলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পুরন্দরপুরে জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে একটি সভা করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র ও বস্ত্র শিল্পের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, রামপুরহাট বিধানসভার বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, সাংসদ মালা রায়, বোলপুর কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।এই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়ী হবে তা নিয়ে নিশ্চিত সকলেই।চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য বক্তব্যের মাধ্যমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এক হাত নেন, অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করা হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে কাজ করে চলেছেন সমস্ত মহিলাদের সামনে তা তুলে ধরা হয়। স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত সামাজিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন।বলেন পঞ্চায়েতের ভোটে মহিলারাই যথেষ্ট।জনসংখ্যার নিরিখে মহিলারা অর্ধেক।পঞ্চায়েতের ভোটে আসন সংখ্যা ও মহিলাদের জন্য পঞ্চাশ শতাংশ বরাদ্দ।মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের জন্য সমস্ত ধরনের চিন্তা ভাবনা করেন এবং তার বাস্তবায়ন করে থাকেন।স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে প্রথমেই থাকে মহিলাদের নাম।মহিলা বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি চলে এলেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে কিন্তু শ্বশুর শাশুড়ীর পাশাপাশি সেই কার্ডে তার মা বাবার নাম ও নথিভুক্ত করা হয়।যা পরস্পর পরস্পরের সাথে তথা উভয় পরিবারের মধ্যে বন্ধন ।উল্লেখ্য বীরভূম জেলায় ১৬৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১৯ টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৫২ জন জেলা পরিষদ সদস্য। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক ইঞ্চি ও জায়গা ছাড়বো না বিরোধীদের সমস্ত তৃনমূল কংগ্রেসের দখলে থাকবে বলে বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী তার বক্তব্যে ব্যাখ্যা করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য বলেন, অনুব্রত মন্ডলের হাতে গড়া জেলার সংগঠন একদম অটল ও মজবুত, যা আজকের মহিলাদের সভায় তার প্রমাণ।
এদিনের সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো