পরিবেশ সুরক্ষাকে সাংস্কৃতিক চর্চায়
যুক্ত করতে এক ঝাঁক কৃতি মহিলা
নিজস্ব সংবাদদাতা বাঁকুড়া : উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা-২০২২ রাজ্য মেধা তালিকায় ১০ ম স্থানাধিকারী প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্ক অনার্সের পঞ্চম সেমিস্টারের ইন্টারনাল
পরীক্ষা চলছে তারই মাঝে পরিবেশ সুরক্ষার গান, নাচ, নাটক ও আবৃত্তি চর্চা প্রসারের জেলায় জেলায় অনুষ্ঠান করে চলেছে এক কৃতি ছাত্রী। বাঁকুড়ার এই ছোট মেয়ে একতা গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায় পরিবেশ সুরক্ষার বিষয় সুনিশ্চিত করতে হলে তা সাংস্কৃতিক চর্চার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে মাই ডিয়ার ট্রিজ এন্ড ওয়াইল্ডস নামে এক পরিবেশবাদী সংস্থায় যুক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের আর্থিক সহযোগিতায় এনভায়রনমেন্টাল মিউজিক ফেস্টিভ্যালে অনুষ্ঠান করে চলেছে।
তার কথায় একজন শিল্পী হয়ে এটা তার সামাজিক দায়িত্ব। তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের যুগ্ম সংস্কৃতি অধিকর্তা তার বাবা গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়কে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে দেখে সে এ কাজে অনুপ্রানিত হয় বলে জানায় একতা। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পাশাপাশি পারমিতা মৈত্রর কাছে নাচ ও বিভিন্ন দলে নাটক করে চলেছে সে। তার বক্তব্য, এই পরিবেশবাদী সংস্থার সাংস্কৃতিক শাখার নেত্রী সংগীতা ধর বিশ্বাস বিএ বেসিক ট্রেনিং করে স্কুলের শিক্ষিকার স্থায়ী চাকরি ছেড়ে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য সাংস্কৃতিক চর্চা প্রসারের কাজ করে চলেছে।রাজ্যের জেলায় জেলায় ঘুরে শিল্পীদের একত্রিত করা, গান রচনা করা, তালিম দিয়ে অনুষ্ঠান করার কাজ করে চলেছে।এই দেখে তার এই দলে যুক্ত হওয়া।বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে বিশেষ করে জল সুরক্ষা, বৃষ্টির জল ধরে রাখা, বাড়িতে পরিকল্পিত জলের ব্যবহার নিয়ে তারা গান, নাটক ও নাচের প্রশিক্ষণ দিতে থাকে সংগীতা ও একতা এবং তাদের দল। প্রায় ৫০০০ এর বেশি শিল্পীকে এপর্যন্ত প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তাদের ৭০০ শিল্পীককে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এনভাইরনমেন্টাল মিউজিক ফেস্টিভ্যালের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেওছে। আসন্ন জল সংকট, বর্তমান জলের লভ্যতা ও বিভিন্ন লোকাচারে বৃষ্টির জল কাজে লাগানো নিয়ে ” ইন্দ্রদেবের রাজত্বে” নাটক তৈরি একতার নির্দেশনায় পরিবেশন করে এই দল। সেদিক থেকে একতা সম্ভবতঃ এরাজ্যের সর্ব কনিষ্ঠ নির্দেশক। নাটকটি লিখেছেন গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়।কেন্দ্রীয় সরকারের এনভায়রনমেন্টাল মিউজিক ফেস্টিভ্যালকে রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে সামিল হয়েছে গানে রবীন্দ্র ভারতী থেকে স্নাতকোত্তর করা বেথুয়াডহরী বিএড কলেজের ছাত্রী আশাপূর্ণা বেগম, বিএড কলেজের ছাত্রী ঋতুপর্ণা জানা, সিঙ্গুরের ফাল্গুনী দাস, কলকাতার স্বস্তি চ্যাটার্জি, মালিনী রায়, ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য্য,
কৃষননগরের শিল্পীরায় ভট্টাচার্য্য, বারাসতের নমিতা গোস্বামী ও প্রিয়াঙ্কা মন্ডলের মত শিল্পীরা।সারা রাজ্যে তাদের এরকম অসংখ্য জল সৈনিক শিল্পী রয়েছে যারা কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে সাংস্কৃতিক চর্চা প্রসারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।