পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুরিয়ায় বেআইনি কয়লা পাচারে CISF-এর বড় অ্যাকশন, তিন ট্রাক কয়লা বাজেয়াপ্ত।
কাজল মিত্র :-গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, CISF টিম পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল জামুরিয়া থানার অধীন চুরুলিয়া থানার মাধবপুর এলাকায় অবৈধ কয়লা চোরাচালানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে। CISF তিনটিতে 300 টনের বেশি কয়লা বোঝাই 16 টি হুইলার ট্রাক সহ কয়লা জব্দ করা হয়েছে, সিআইএসএফ টিমকে দেখে ট্রাক চালক ট্রাক ছেড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়, পরে সিআইএসএফ টিম ট্রাক সহ ট্রাকে বোঝাই অবৈধ কয়লা বাজেয়াপ্ত করে । জামুরীয়া থানা, সিআইএসএফ টিম জানিয়েছে যে এর আগেও তারা 19 নভেম্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কয়লা জব্দ করেছিল, তা সত্ত্বেও এই এলাকায় অবৈধ কয়লা ব্যবসা বন্ধ হয়নি এবং এই ব্যবসা শুরু হয়েছে। বড় পরিসরে চলছে, যা নিয়ে তারা গত কয়েক মাস ধরে অভিযোগ করে আসছিল।কয়েকদিন ধরে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ব্যবস্থা নেয় এবং অবৈধ কয়লা ডিপো থেকে ১০টির বেশি ট্রাক কয়লা জব্দ করার প্রক্রিয়া চালায়। ওই এলাকায় অবস্থিত এবং সেই কয়লাগুলিকে আইসিএল-এর কলিয়ারিতে পাঠানোর কাজ চলছে, যেখানে জামুরীয়া থানার অধীনেও একই কাজ চলছে। এত বড় পরিসরে অবৈধ কয়লা ব্যবসা নিয়ে সোমবার বড় বিবৃতি দিয়েছেন জামুরিয়ার তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং।তিনি বলেছেন, তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে কোনও মূল্যে বেআইনি কয়লা ব্যবসা চলতে দেবেন না।বিধায়কের বক্তব্যের পর, এলাকায় যে অবৈধ কয়লা ব্যবসা চলছে তা অন্য কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা প্রমাণ করে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না। বিধায়কের এলাকায়, তা হলে তার বক্তব্যের প্রভাব অবশ্যই এলাকায় দেখা যেত।তার বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং কয়লা মাফিয়ারা প্রকাশ্যে বিধায়ক ও পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করে অবৈধ কয়লার ব্যবসা করছে।
এবিষয়ে বিজেপি নেতা তথা আসানসোল এর প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন তিন রাজ্যের ফলাফল এর পর অনেকের সত্যি কথা বলতে শুরু করেছে , জমুরিয়ার বিধায়ক সত্যি যদি অবৈধ কয়লার সিন্ডিকেট নিয়ে লড়াই করতে চাই তাহলে তিনি সাথে আছেন আর যদি লোকদেখানো আইওয়াস মাত্র তাহলে যেমন চলে চলবে ।তবে আমরা বিজিপির তরফে বারাবনি, জামুরিয়া, আসানসোল সহ বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে এই অবৈধ কয়লা সিন্ডিকেট চলছে টা নিয়ে লড়াই করে যাবো ।