শ্যামল রায় ,
পাটুলিতে রাজা রামমোহন রায়ের প্রতিষ্ঠিত দুর্গাপুজো আজও মনকে আনন্দ দেয়
রাজা রামমোহন রায় প্রতিষ্ঠিত দুর্গাপুজো পাটুলির নারায়ন পুরে ভট্টাচার্য্য বাড়িতে আজ ও নিষ্ঠা সহকারে পুজো হয়ে আসছে। তবে এ বছর সে রকম জাঁকজমক না থাকলেও মানুষ আসেন পুজো দেখতে।
জানা গিয়েছে যে এই দুর্গা পুজো ঘিরে রয়েছে নানান কাহিনী। তবুও ভট্টাচার্য্য বাড়ির অন্য তম কর্ণধার সুজিত ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন যে দেবী দুর্গা এখানে কুলো বধু রূপে পূজিত হয়ে আসছে। দেবীর দুটি হাত সামনের দিকে প্রদর্শিত হয় এবং বাকি আটটি হাত পিছন দিকে লুকানো থাকে অনেকে বলে থাকেন এই দেবী কন্যা রূপে পূজিত হয় তবুও লোকমুখে কথা দেবী মহামায়া মূর্তি হিসাবে এখানে পুজো তো হয়ে আসছে। এছাড়াও দেবী দুর্গার সাথে বাঘ বাসিন কিছু থাকেনা। শুধুমাত্র সবুজ রঙের ঘোড়া থাকে।। লোকাচারে বলে থাকেন অনেকে যে কাকুর মুখে আক্রমণাত্মক ক্ষিপ্র অসুরকে হাত কামড়ে বধ করার দৃশ্য এখানে দেখা যায়।
আরেক প্রবীণা রিনা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে সপ্তমীর দিন থেকে পাঠা বলির প্রথা আজও প্রচলিত রয়েছে। অষ্টমীর দিন দুটি পাঠাবলি করার নিয়ম এছাড়া নবমীতে ও একটি পাঠা বলি দেওয়া অবশ্যই দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আরও জানা গিয়েছে যে আগে প্রতিদিন বহু পাঠা বলি ওতো এখন নিয়ম বদলে গেছে অনেকটাই। তবে সন্ধিপুজো নিয়মিতভাবে হয়।
বিসর্জনের দিন রীতি ছিল দেবী দুর্গাকে নৌকায় চাপিয়ে গঙ্গা পরিভ্রমণ শেষে বিসর্জন দেওয়া বর্তমানে সেই রীতি বদলে গিয়ে এখন নৌকায় চাপানো হয় না দেবীকে গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া রয়েছে।
তবে এ বছর করোনাভাইরাস এর জেরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজা অনুষ্ঠিত করার কাজ চলছে মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পড়ে সপ্তমীর দিন পুজো দেখলেন বলে জানিয়েছেন