বৈদূর্য ঘোষাল ( আইনজীবী – কলকাতা হাইকোর্ট)
পর্যটনের ভরা মরসুমে রমরমিয়ে অসাধু ব্যবসা করছে ‘১৩ পার্বনে:র মত কিছু বাঙালি রেস্তোরা –
পুরী বাঙালির অন্তরের খুব কাছের। ওড়িশার পুরী আসেননি এরকম বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভীষণ দুস্কর। একদিকে জগন্নাথ মন্দির আর অন্যদিকে সমুদ্রের অমোঘ টান। সেপ্টেম্বর এর ৩০ তারিখ শনিবার , ১ লা অক্টোবর, রবিবার আর ২রা অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী চোখে পড়ার মত ভীড়। পুরীতে এই ৩ দিনে বাঙালির বিপুল জনজোয়ার চোখে পড়ার মতো। আর বাঙালির পছন্দ সবসময় বাঙালি খাবার। বাঙালির সেই আবেগকে কাজে লাগিয়ে পুরীতে চলছে কিছু অসাধু বাঙালি রেস্তোরার কারবার। তাদের মধ্যে স্বর্গদ্বারের কাছে ‘১৩ পার্বণ ‘অন্যতম। এই পর্যটনের ভরা মরসুমে মানুষের পাতে পড়ছে বাসি মাছ – বাসি সবজি, খাবারের মান অত্যন্ত খারাপ। অভিযোগ জানালে জুটছে স্টাফ ও ম্যানেজারের দুর্ব্যবহার। খাবারের পাকা বিল চাইলেও এরা মানুষকে দিতে অস্বীকার করছেন। খাবার নিয়ে কোনো সমস্যা জানলে দলবল নিয়ে ঝগড়া ও গা জোয়ারি চলছে। পর্যটকদের অনেকেই ভুক্তভোগী। পুরীর স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আগত পর্যটকদের তাদের পক্ষ থেকে এই সব অসাধু হোটেল ব্যাবসায়ীদের দোকান বর্জন করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদিও অভিযুক্তদের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।