পূর্ব বর্ধমান জেলা ডিজিটাল মিডিয়ার পক্ষ থেকে পেশ করা হলো স্মারকলিপি
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
প্রিণ্ট মিডিয়ার হাত ধরে প্রকাশিত সংবাদ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সৌজন্যে। সেটা কিছুটা সময় সাপেক্ষ হলেও আজ মুহূর্তের মধ্যে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে সংগঠিত হওয়া ঘটনাকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়া। অথচ নানা প্রতিকূলতাকে সঙ্গী করে কাজ করে যেতে হচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকদের। তবুও তারা কর্তব্যে অটল থাকছে।
ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও কর্মক্ষেত্রে মাঝে মাঝে 'আইডেণ্টিটি ক্রাইসিস' সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে ওঠে। সমস্যায় পড়লে অনেক সময় প্রশাসনিক সাহায্য পাওয়া যায়না। আছে আর্থিক সমস্যা। এইরকম বিভিন্ন সমস্যাকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য জেলার ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত প্রায় একশ জন সাংবাদিকদের নিয়ে গড়ে উঠেছে 'পূর্ব বর্ধমান জেলা ডিজিটাল মিডিয়া' সংগঠন।
প্রসঙ্গত গড়ে ওঠার পর থেকেই ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকদের এক ছাতার তলায় আনার সঙ্গে সঙ্গে সদস্যদের সুযোগ সুবিধার স্বার্থে সংগঠনটি কাজ করে চলেছে এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
আসন্ন লোকসভা ভোটের সময় ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকদের সরকারি
পরিচয় পত্র দেওয়া, প্রশাসনের প্রেসমিটে তাদের আমন্ত্রণ জানানো, বিপদের সময় প্রশাসনিক সহযোগিতা, প্রশাসনের গ্রুপে সমস্ত ডিজিটাল মিডিয়ার সদস্যদের যুক্ত করা, সরকারি বিজ্ঞাপনের সুবিধার দাবিকে সামনে রেখে ২০ শে মার্চ সংগঠনের পক্ষ থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিকের হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়।
পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দেন এবং দাবিগুলি যাতে দ্রুত পূরণ হয় তার জন্য সেটি রাজ্য ও জেলার উর্ধ্বতন আধিকারিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
স্মারকলিপি পেশ করার সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি আমজাদ আলী শেখ, সম্পাদক পিন্টু প্যাটেল, মণিমোহন গোস্বামী, সুশান্ত বাগ, ঝিলিক মুখার্জ্জী, দেবাশীষ ঘোষ, কানাই লাল বিশ্বাস সহ অন্যান্য সদস্যরা। যদিও সকাল থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য শহর বা শহর থেকে দূরে থাকা অনেক সদস্য উপস্থিত থাকতে পারেননি।
পরে পিণ্টু বাবু বলেন - আমাদের দাবিগুলি দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। আশাকরি কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবিগুলি গুরুত্ব দিয়ে বিচার করবেন।