প্রকাশিত হলো ‘কাব্যতরী’ সাহিত্য পত্রিকার বইমেলা সংখ্যা
নীহারিকা মুখার্জ্জী চ্যাটার্জ্জী, কলকাতা -:
কলকাতায় চলছে ৪৮-তম আন্তর্জাতিক বইমেলা। সেখানেই একটি প্রকাশনা সংস্থার স্টলের সামনে উপস্থিত কবি-সাহিত্যিকদের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ ঘটল 'কাব্যতরী' সাহিত্য পত্রিকার বইমেলা সংখ্যা। পত্রিকা গোষ্ঠীর দশম বর্ষের সংকলনটিতে ছিল নির্বাচিত অর্ধশতাধিক অনুগল্প। বইমেলায় বইটি প্রকাশিত হলেও বরাবরের মত ছিল গভীর আন্তরিকতা।
প্রবীণ কবি ও সাহিত্যিক কমল দে সিকদার, সাহিত্যক অজিতেশ নাগ, কবি সৌমিত বসু, বৈজয়ন্ত রাহা, শংকর ব্রহ্ম, অয়ন দাস, রানা চ্যাটার্জি, রঞ্জন চক্রবর্তী, মুনমুন মুখ্যর্জ্জী, প্রবীর কুমার চৌধুরী সহ আরও একাধিক কবি-সাহিত্যিকের সৃষ্টি পত্রিকাটিকে সমৃদ্ধ করেছে।
অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে প্রবীণ কবি-সাহিত্যিক কমল দে সিকদারকে বরণ করে নেওয়া হয়। তিনি তার বক্তব্যে সাহিত্য সংক্রান্ত বিষয়ে সংক্ষিপ্ত অথচ গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ করেন এবং নবীন প্রজন্মকে সাহিত্যচর্চায় গভীর ভাবে মননিবেশ করার জন্য আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি পিনাকী বসু, কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকার তাপস সাহা, নিগমানন্দ মণ্ডল সহ ষাট জনের অধিক কবি-সাহিত্যিক। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে তাদের বরণ করা হয় এবং প্রত্যেকের হাতে সংকলনটি সহ পেন, রাইটিং প্যাড, টেবিল ক্যালেন্ডার ইত্যাদি তুলে দেওয়া হয়।
অনিবার্য কারণে সংকলন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সুদূর বার্ণপুর থেকে আসতে পারেননি কবি মুনমুন মুখার্জ্জী। তিনি বললেন - প্রবীরদার আন্তরিকতার ছোঁয়া না পাওয়ার জন্য খুবই খারাপ লাগছে।
উপস্থিত কবি-সাহিত্যিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ‘কাব্যতরী’ পত্রিকা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তথা প্রাণপুরুষ প্রবীর কুমার চৌধুরী বললেন – আজ সত্যিই খুব আনন্দের দিন। বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি-সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে আমি ‘কাব্যতরী’ সাহিত্য পত্রিকার বইমেলা সংখ্যা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছি।
আশাকরি আগামীদিনেও এদের পাশাপাশি নতুন নতুন প্রতিভাদের পাশে পাব।