প্রখর রোদে জলছত্রের পাশাপাশি গাছ লাগানোর বার্তা মঙ্গলকোট পুলিশের
পারিজাত মোল্লা ,
‘জলের আরেক নাম জীবন’, যারা সূর্যের প্রখর তেজে পথেঘাটে বের হন।বিশেষ করে ৪২ ডিগ্রি তাপে তাদের অবস্থা প্রাণ যায় যায় মতন।তীব্র দহনে যখন বাংলা থর মরুভূমি কে টেক্কা দিচ্ছে। তখন চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের কালো জোব্বা পড়তে বারণ করেছেন এই গরমের চরম অস্বস্তির কথা ভেবে।আবার বিধাননগর এলাকায় এক বেআইনী ফ্ল্যাটে প্রতারিত আবাসন গ্রহিতাদের জল ও বিদ্যুতের সংযোগ পুনরায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে পুনরায় মানবিক উদ্যোগ নিতে দেখা গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পুলিশ কে।রবিবার সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত থানার গেটের সামনে চললো জলছত্র কর্মসূচি এবং গাছ লাগানো নিয়ে সার্বিক জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে বার্তা দিতে দেখা যায় পুলিশ কে । প্রসঙ্গত, মঙ্গলকোট থানার সামনে রাস্তাটি ৭ নং রাজ্য সড়কপথ ( বাদশাহী রাস্তা খ্যাত) । তাই প্রতিনিয়ত উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের অসংখ্য গাড়ি চলাচল করে থাকে ।রবিবার জনা দশ পুলিশ কর্মীর পরিচালনায় সড়কপথে আগত পথচারী থেকে বিভিন্ন ধরনের যান চালকদের শরবত – জল খাওয়ালেন পুলিশ কর্মীরা।সাইকেল থেকে বাস, লরি থেকে মোটরসাইকেল চালকদের জনে জনে তৃষ্ণা মেটাতে জলছত্র কর্মসূচি চলে এদিন। এর পাশাপাশি প্রকৃতির রোষানল থেকে বাঁচতে গাছ লাগানো নিয়ে বার্তা দেওয়া হয় প্রত্যেক কে। পথেঘাটে, বাড়িতে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে উদ্যোগ নিতে হবে আমাদের সবাই কে।তা না হলে গরমের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।এই ধরনের নানান জনহিতকর বার্তা দেওয়া হয়। মঙ্গলকোট থানার আইসি মধুসূদন ঘোষ জানিয়েছেন -” তীব্র গরমে পথচারী থেকে বিভিন্ন যানচালকদের একটু পাশে থাকার চেষ্টা করেছি”। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রমজান মাসের শেষে পবিত্র ঈদের প্রাক্কালে দুশো পথভিক্ষুকদের নুতন বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল মঙ্গলকোট থানার পুলিশের তরফে ।