পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সংখ্যালঘু বিভাগের উদ্যোগে ‘ওয়াকফ বাচাও আন্দোলন’ এর দ্বিতীয় জনসভা ১৬ই নভেম্বর মধ্য কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার প্রধান আহ্বায়ক ছিলেন সংখ্যালঘু বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব শামিম আখতার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা শ্রী অমিতাভ চক্রবর্তী, সিনিয়র নেতা আজমল খান, প্রদেশ কংগ্রেস সংখ্যালঘু বিভাগের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশফাক আহমেদ, জিতেন্দ্র পাল সিং জি, সাধারণ সম্পাদক ড. আমজাদ আলি আনসারি, যুব কংগ্রেস নেতা মহ: সরফারাজ, বড়বাজারের চেয়ারম্যান খালিদ রেজা, মহ: হুসাইন, এবং সোসাল মিডিয়া ইনচার্জ নেয়ামত আলি।
সভায় জনাব চেয়ারম্যান শামিম আখতার উল্লেখ করেন যে, “রাহুল গান্ধীজী সংসদে এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছেন এবং ওয়াকফ রক্ষার আন্দোলনকে জোরদার করার জন্য অল ইন্ডিয়া চেয়ারম্যান ও রাজ্যসভার সাংসদ ইমরান প্রতাপগড়ীজী দায়িত্ব দিয়েছেন। তার নির্দেশ অনুযায়ী কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ডে ও সারা বাংলায় এই আন্দোলন চলবে। ১৮ই ডিসেম্বর ইমরান প্রতাপগড়ীজী কলকাতায় উপস্থিত থাকবেন, তার সঙ্গে থাকবেন সাংসদ ড. জাভেদ, সাংসদ সৈয়দ নাসির, এবং সাংসদ পাপ্পু যাদব। তারা এই বিলের বিরুদ্ধে একটি বিশাল জনসভা করবেন।”
শ্রী অমিতাভ চক্রবর্তীর বক্তব্য:
“ওয়াকফ সম্পত্তি সংরক্ষণ ও সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষা করা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। আমরা কংগ্রেসের নেতৃত্বে এই আন্দোলনকে আরো বৃহৎ আকারে এগিয়ে নিয়ে যাব। জনগণকে সচেতন করতে এবং ওয়াকফ সম্পত্তি সুরক্ষায় আমরা একসঙ্গে লড়াই করব।”
অ্যাডভোকেট আশফাক আহমেদের বক্তব্য:
“ওয়াকফ বাচাও আন্দোলন শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নয়, এটি আমাদের সবার আন্দোলন। আমাদের এই লড়াই ন্যায়সংগত ও আইনি অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য। আমি সমাজের সকল সচেতন মানুষদের আহ্বান জানাই, এই আন্দোলনে শরিক হয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসকে শক্তিশালী করুন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি যে আপনি এর বিরুদ্ধে একটা রেজুলেশন পাস করুন ।”
জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই আন্দোলনের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ আগামী দিনে এই আন্দোলন আরও বৃহৎ পরিসরে পরিচালনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।