প্রবীণ মৎসজীবিরা ‘জয় বাংলা’প্রকল্পে পেনশনের আওতায়

Spread the love

খায়রুল আনাম (সম্পাদক সাপ্তাহিক বীরভূমের কথা)

 প্রবীণ মৎস্যজীবীরা ‘জয়  বাংলা’ প্রকল্পে পেনশনের আওতায়
           
একদিন যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী-নালা, খাল-বিল থেকে শুরু করে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের সাথে লড়াই করে মানুষের পাতে হরেক রকমের মাছ তুলে দিয়েছেন, বার্ধক্যে তাঁরাই ভোগেন নানাবিধ আর্থিক সমস্যায়। গ্রাসাচ্ছাদন থেকে চিকিৎসা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই তাঁদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এই পরিস্থিতি ও পরিণতির দিকে দৃষ্টি  দিয়ে রাজ্যের  ‘ডিরেক্টরেট অব ফিশারিজ’ প্রবীণ মৎস্যজীবীদের  জন্য  ‘জয় বাংলা’ প্রকল্প ঘোষণা করে তাঁদের পেনশন তালিকায় নিয়ে আসার কথা জানিয়েছে।   মৎস্যজীবীদের আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই পেনশন প্রকল্প।   প্রথম পর্যায়ে এই প্রকল্পে  সাড়ে আট হাজার  মৎস্যজীবীকে  প্রকল্পের  অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় যে তালিকা তৈরী করা  হয়েছে তাতে নতুন করে ১৩ টি জেলার ১০ হাজার ৫০০ জন প্রবীণ মৎমৎস্যজীবী এই  তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।  এরফলে রাজ্যে মোট ১৯ হাজার প্রবীণ মৎস্যজীবী এই প্রকল্পের আওতায় এলেন। যে সব মৎস্যজীবীদের বয়স  ৬০ বছর ও তার ঊর্ধ্বে  এবং মাছ ধরতে অক্ষম,  তাঁরাই এই পেনশন পাবেন। প্রতি মাসে পেনশন প্রাপকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্টে সরাসরি সরকারিভাবে এক হাজার টাকা করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।          প্রবীণ মৎস্যজীবীদের এই পেনশন তালিকা থেকে  দেখা যাচ্ছে, দুই ২৪ পরগনায় পেনশন প্রাপকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।  দক্ষিণ  ২৪ পরগনায় ১ হাজার ৯৬ জন এবং  উত্তর ২৪ পরগনায় ১ হাজার ৫৩ জন এই পেনশন পাবেন।  তালিকায় থাকা অন্যান্য জেলাগুলির মধ্যে  নদীয়া  জেলায় ৮৬৭ জন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৭৫৮ জন, মুর্শিদাবাদ জেলায় ৬৬২ জন, বীরভূম জেলায়  ৬৫৩ জন, কোচবিহার জেলায় ৫৭৫ জন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৫৩৭ জন, বাঁকুড়া জেলায় ৫৩৩ জন, মালদহ জেলায় ৫১৭ জন, উত্তর দিনাজপুর জেলায় ৫০৮ জন এই পেনশন পাবেন। আর সবচেয়ে কম প্রাপকের সংখ্যায় রয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা দু’টি। সেখানে মাত্র ৭ জন করে   এই পেনশন প্রাপকের তালিকায় রয়েছেন ।।     

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *