প্রস্তরলিপি
মমতা শঙ্কর সিনহা পালধী (ব্যারাকপুর)
কখনো কি ছুঁয়ে দেখছো কবির কবিতার অক্ষরগুলি?
ছুঁয়ে দেখছো কি স্বপ্নের নীল শতদলের নরম পাঁপড়ি?
যখন ভেঙেছে জীবনের মানচিত্রের কত প্রস্তরলিপি,
সৃষ্টি হয়েছে একের পর এক সভ্যতার ইতিহাস ঐ প্রস্তরলিপির পরে।
প্রস্তরলিপির ভাঁজে ভাঁজে,খাঁজে খাঁজে আজও ইতিহাস ফিসফাস কথা কয়—
কাঁদে বন্দি অজানা লিপিবদ্ধ ইতিহাসের প্রাচীন ভাষারা।
আজ বুঝি কবির কাব্যমালারা কদর না করার হতাশায় ফেলে দীর্ঘশ্বাস!!!
এ লজ্জা কার–তোমার,আমার,কবির না কবিতার!!!
আমি বলি—এ বুঝতে না পারার ,
বোঝাতে না পারার যন্ত্রনা সমগ্র বিশ্বের—
ঠুনকো আঘাতে ভাঙে কি কখনো কবিতার প্রস্তরলিপির ইমারত?
বিবর্তিত সভ্যতার ইতিহাস হাতুড়ির আঘাতে ধ্বংস হয়ে চাপা পড়তে পারে মরুর বালিয়াড়ির তলে কিংবা সাগরের অতলজলরাশিতে হয় নিমগ্ন।
হৃদয়ে রক্তের সুনামিতে কেঁপে ওঠে বর্ণমালা—
ভেসে যায় জীবনের কবিতার সারি—তা আর হবে না লিপিবদ্ধ।
আজ বেদানাতুর হৃদয়ে যে কবিতাদের রচি স্নেহের স্পর্শে
তাও কোনো দিন হয়তো ভেসে যাবে চোখের লোনা সাগর জলে।
তবুও তো এ মন জানবে তখনও হয় তো পৃথিবীর কোথাও না কোথাও থেকে যাবে প্রস্তরলিপির ইমারত স্মৃতির প্রেক্ষাপটে।