প্রস্তাবিত ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের সভা কক্ষে রবীন্দ্র জন্ম উৎসব পালন ও মহিলাদের স্বনির্ভর করতে বিশেষ আলোচনা শিবির।
প্রস্তাবিত ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের সভাপতি মলয় পীট
ত্রিপুরার মহিলাদের কাছে পরিস্কার করে দিলেন যে,
মহিলারা পারে সমাজ গড়ে দিতে, সমাজের উন্নয়ন ঘটাতে এবং সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ।
প্রস্তাবিত ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের সভা কক্ষে রবীন্দ্র জন্ম উৎসব পালন ও মহিলাদের উদ্যোগপতি (entrepreneur) করে গড়ে তুলতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি ডক্টর মলয় পীট, শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ গৌতম নারায়ণ সরকার, প্রাক্তন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা অধ্যাপক ডাঃ সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রখ্যাত স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ সমীর হাজরা সহ বিশিষ্ট জনেরা।
এদিন মলয় বাবু জানান, “স্থানীয় মানুষদের বিপুল উৎসাহ। মহিলারা কিছু করবেন বলে এগিয়ে এসেছেন। এই মহিলাদের একটু সাপোর্ট দিলেই তারা সব থেকে বেশী সফল entrepreneur হবেন। যে কোন কাজে মহিলাদের সততা, একাগ্রতা এবং কর্ম দক্ষতা অপরিসীম। তাদের এই সহজাত বিষয়গুলোকে একটু উৎসাহ দিলেই তারা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।”
সারাদিন ধরে আজ নানা না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার বিভিন্ন শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন দুপুরে আয়োজন করা হয়েছিল খাবারের।
মলয় বাবু বলেন, যে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতে ২০২৭ এর মধ্যে “ত্রিপুরা নলেজ সিটি” গড়ে তোলা হবে। যেখানে KG থেকে PG বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, স্পোর্টস একাডেমী, কালচারাল একাডেমী, রিক্রিয়েশন ক্লাব গড়ে উঠবে। এই প্রকল্পে মহিলাদের entrepreneur করে এগিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের মাধ্যমে ৩০০টির মতো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে পরিষেবা প্রদানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিগত কয়েক মাসের মধ্যেই প্রস্তাবিত ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের মাধ্যমে এলাকার যে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে তাতে অভিভূত স্থানীয়রাও। স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন যে এই অনুর্বর জায়গায় একটি মেডিকেল কলেজ হতে চলেছে। তাতে আমরা যেমন কাজ পাব পাশাপাশি আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা দারুন উন্নতি ঘটবে ।
আগরতলা থেকে আমিরুল ইসলামের রিপোর্ট।