খায়রুল আনাম,
এলাকার মানুষের কাছে প্রাচীন জলাশয় হিসেবে পরিচিত এবং তা সকলের ব্যবহার্য। বর্ধমানের মেমারির সাতগেছিয়ার এমনি একটি বৃহৎ জলাশয় পদ্ম পুকুর নামে পরিচিত। জেসিবি মেশিন দিয়ে সেই পদ্ম পুকুর সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে উদ্ধার হলো একটি বিষ্ণুমূর্তি। তিন ফুট তিন ইঞ্চি উচ্চতা ও দেড় ফুট চওড়ার এই বিষ্ণুমূর্তিটি ত্রিবিক্রম ধাঁচে তৈরী হওয়ায়, এটিকে একটি বিশেষ সময়ের পরাক্রম প্রকাশের প্রতীক বলেও মনে করা হচ্ছে। পূর্ণ প্রস্ফুটিত পদ্মের উপরে সমপদস্থান ভঙ্গিতে দণ্ডায়মান এই বিষ্ণুমূর্তির দু’ পাশে লক্ষ্মী এবং সরস্বতী অবস্থান করছেন শঙ্খপুরুষ ও চক্রপুরুষ। যা আয়ুধপুরুষের পরিচিতি তুলে ধরে। মাথার উপরে রয়েছে শার্দুল। একইভাবে কিছুদিন আগেই রায়না এলাকাতেও একটি পুকুর সংস্কারের সময় এমনই একটি বিষ্ণুমূর্তি পাওয়া গিয়েছিলো। এই বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধারের পরেই এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষজন মূর্তিটিকে গ্রামের মন্দিরে নিয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেন। খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ মূর্তিটির প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব উপলব্ধি করে, গ্রামের মানুষদের বুঝিয়ে সেটি থানায় নিয়ে যান। পরে মূর্তিটিকে নিয়ে আসা হয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালায়।