ফিরে এসো
সুপর্ণা বিশ্বাস (বজবজ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা)
প্রভাত আসে সুপ্রভাত কড়া নাড়ে,
বিশালত্বের সবটাই নবকিরনে সাজে।
ভোর থেকে বেলা,বেলা থেকে মধ্যাহ্ন,
সবকিছুই নিয়মের ঘেরাটোপে আবদ্ধ।
ঐ চরাচরের মাঝে,
কত কোলাহল যুঝে;
তাকাই সবার মুখের পানে,
কত অভিমান নিশ্চুপ সয়ে।
মূহুর্তে মূহুর্তে বেড়াই খুঁজে,
ভুলেছি শেষ দেখেছি কবে।
আদপে কি তুমি আমারই ছিলে?
যে মনের ব্যথা বুঝতে পারবে।
চেষ্টা করি বৃথা,
ভেবে তোমার কথা।
জানিনা কেন যে মনে পড়ে
গোপন সে সব নিরস গাঁথা।
উদাস দু নয়ন মেলি,
তাকিয়ে ভাবি আকাশ পানে।
কত মধুর অভিনয়ে;
রেখে চলে গেলে নিশ্চুপ নিরালায়ে।
পাখিরাও দিন শেষে,
ফিরে যায় তাদের নীড়ে।
তুমিও কি তেমনি করে;
আসবে আবার আমার কাছে?
দুপুর গড়িয়ে বিকেল ,
সূর্যাস্ত আহ্বানে আপ্যায়িত গোধুলি।
সন্ধ্যা নামে গ্রামের তুলসী তলায়,
কোলাহল তখন কিছুটা হলেও
ক্ষণিকের অবতার সাজে।
ঘুরতে ঘুরতে ঘড়ির কাঁটা,
সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত্রি নামে।
তুমি এসেছিলে আমার কাছে
স্বপ্নময়ূরীর ডানা মেলে।
তোমার মায়াবী চোখেতে
রেখেছিলাম মোর চোখ।
তুমি দিয়েছিলে আমার বুকে,
জ্বলন্ত ভালবাসার অঙ্গার রূপ।
তোমার আমার মাঝে ছিল
ভালবাসার ছড়াছড়ি।
তাইতো ভালবাসার ছোঁয়া দিয়ে
করিনি কখনও বেঈমানি।
তোমাকে করেছিলাম আপন,
রেখেছিলাম ঠোঁটে ঠোঁট।
জানিনা এই পৃথিবীর সবাই
স্বার্থে চলা বিষাক্ত জট।
তোমার কথা ভুলতে পারিনা,
মনে পড়ে সকাল সাঁঝ।
নীলাভ নীলের সহোদরে
এখন শুধুই তোমার বাস।
ফিরে এসো তুমি বারবার
স্বপ্নের ডানা মেলে ।
ফিরে এসো তুমি বারবার
স্বপ্ন তরণী বেয়ে।।