খায়রুল আনাম, ২৩ মে,
করোনার গ্রাসে প্রাক্তন বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস
আরও এক রাজনীতিক চলে গেলেন করোনার গ্রাসে। রবিবার ২৩ মে ভোরে কলকাতার মোমিনপুরে একটি নামি নার্সিং হোমে ৫৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বীরভূমের নলহাটি কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস। প্রয়াত মইনুদ্দিন শামসের পিতা কলিমুদ্দিন শামসকে কলকাতা থেকে বীরভূমে নিয়ে এসে বাম শরীক ফরওয়ার্ড ব্লক নলহাটি কেন্দ্রে প্রার্থী করে জিতিয়ে নিয়ে যায়। তিনি বামফ্রন্ট সরকারের আমলে খাদ্য মন্ত্রীর দায়ীত্বও সামলান। মইনুদ্দিন শামসও ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক দলে। কিন্তু বাম শরীক ফরওয়ার্ড ব্লক নলহাটি কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী না করায় তিনি ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিমের (ববি) আগ্রহে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মইনুদ্দিন শামস নলহাটি কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে প্রার্থী না করায় তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে নলহাটি কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তিনি কলকাতাতেই থাকছিলেন। সেখানেই তিনি ৩ মে অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে মোমিনপুরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষায় ৫ মে তাঁর করোনা ধরা পড়ে। সেখানে সুস্থ হওয়ায় তিনি বাড়ীও ফিরে আসেন। কিন্তু পুনরায় তিনি অসুস্থ হওয়ায় ১৯ মে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তাঁর করোনা রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। কিন্তু ২১ মে তিনি পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে কলকাতার একটি নামী নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হলে রবিবার ২৩ মে ভোরে তিনি সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৷।
ছবি- মইনুদ্দিন শামস।