ফুরফুরা শরীফে এই এস এফের হুল দিবস উদযাপন
এ. এহসান : হুগলী
ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের উদ্যোগে বুধবার ১৬৭ তম ঐতিহাসিক হুল দিবস পালিত হল আইএস এফের কেন্দ্রীয় অফিস ফুরফুরা শরীফে। বিধায়ক মহঃ নওশাদ সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে সংক্ষিপ্তাকারে উদযাপিত হওয়া এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আদিবাসী নেতা ও আইএসএফ এর রাজ্য সহকারী সম্পাদক লক্ষীকান্ত হাঁসদা, আইএসএফের অফিস সেক্রেটারী নাসিরুদ্দিন মীর , বিশিষ্ট সমাজকর্মী সুনীল হাঁসদা সহ আরও বিভিন্ন নেতৃত্ব। সুনীল হাঁসদা তার বক্তব্য সিধু কানু দের সংগ্রাম কে ভারতের ‘প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম’ স্বীকৃতির দাবি জানান । মাননীয় লক্ষীকান্ত হাঁসদা তার বক্তব্যে আদিবাসী জাতির বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সরকার আদিবাসী জাতির প্রতি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুধু প্রতারণা করেছে। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন সিধু-কানু দের ছয় ভাইবোনের জীবন উৎসর্গ ভারতের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা । তিনি আরো বলেন আদিবাসী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলে সংবিধানের পঞ্চম তফসিল লাগু করতে হবে। এরই সঙ্গে ২০০৬ সালের বন রক্ষা আইন কে পূর্ণ বলবৎ করতে হবে । সাঁওতালি ভাষায় অলচিকি লিপি মাধ্যমে শিক্ষার জন্য পৃথক একটি সাঁওতালি এডুকেশন বোর্ডের দাবি করেন । এমনকি bতিনি এই সমস্ত দাবি বিধানসভায় তুলবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আজকের কৃষক আন্দোলনকে সেদিনের সিধু কানু দের সংগ্রামের সঙ্গে তুলনা করে বিধায়ক নওশাদ সাহেব ইচ্ছা প্রকাশ করেন সিধু কানু দের মত তিনিও আদিবাসী নেতৃত্বকে নিয়ে দিল্লী পর্যন্ত আন্দোলনে নামতে চান। ধীরেন্দ্রনাথ বাস্কে ঐতিহাসিক বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে জানান, সেদিনের হুল সিধু মুর্মু কানু মুর্মু নেতৃত্ব দিলেও আন্দোলনে সাথ দিয়েছিল দলিত ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ।
এছাড়াও অন্যদিকে, অশোকনগর থানা শাখা কমিটির উদ্দ্যোগে হুল দিবস উদযাপন করা হয়। সেই সাথে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন আই এস এফ এর রাজ্য সহ-সভাপতি তাপস ব্যানার্জি মুখপাত্র সৌমিত্র দস্তিদার সহ
শাখা কমিটির বিভিন্ন নেতৃত্ব।