শারদ উৎসব বাংলা সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। শিল্পীদের নিত্য নতুন সৃজনশীলতা ও আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণে শারদ উৎসব বাংলার সংস্কৃতিকে দিনদিন বৈচিত্র্যপূর্ণ ও নান্দনিক করে তুলেছে। শারদ উৎসবকে আরো আকর্ষণীয় এবং বাঙালির শিল্পচেতনার গরিমাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গত ২০১৩ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দুর্গাপুজোর সেরা সম্মান পুরস্কার প্রবর্তন করে।এবছর ডিজিটাল নিউজ চ্যানেল এসএস নিউজ ওয়ান এর পক্ষ থেকে সেরা ভাবনা, সেরা মাতৃপ্রতিমা, সেরা আলোকসজ্জা ও সভাপতির সামাজিক সচেতনতাকে ভিত্তি করে বিভিন্ন পুজো কমিটি গুলোকে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। এবছর দুর্গোৎসবে ডিজিটাল চ্যানেল এস এস ওয়ান বাংলার বিভিন্ন নিউজ নেটওয়ার্ক ,মোল্লা জসীমউদ্দীনের বাংলার খবরাখবর ,২৪ ঘন্টা ইন্ডিয়া টিভি ,নিউজ স্টারডম কলকাতা ও তার সংলগ্ন বরানগর, সোদপুর, দক্ষিণেশ্বর ও বেলঘড়িয়া, এয়ারপোর্টের বিভিন্ন মন্ডপে পরিক্রমা করে বিচারকদের চুলচেরা বিশ্লেষণএর মাধ্যমে পুজো কমিটির হাতে বঙ্গ দিশারী শারদ সম্মান ২০২৪ তুলে দেয়। পরিক্রমায় অংশ নেওয়া উল্লেখযোগ্য সব পুজো কমিটিগুলির মধ্যে রয়েছে নিমতা ছাত্র সমাজ, হিন্দুস্তান ভলেন্টিয়ার্স, বরানগর ছাত্র সম্মেলনি, মল্লিক কলোনি, নপাড়া দাদাভাই সংঘ, কালাকার পাড়া, বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাব, বালানন্দ যুগল মন্দির, নীলগঞ্জ রোড মহুয়া ক্লাব, বেলঘড়িয়া অমৃতনগর, বরানগর ফরওয়ার্ড স্পোর্টিং ক্লাব,বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব,দক্ষিণেশ্বর ডোমেস্টিক এরিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি ও অন্যান্যরা।
বিচারক মন্ডলী ও অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ভবা পাগলার আশ্রিত এবং পালিত কন্যা ও বিশিষ্ট গায়িকা সন্ন্যাসিনী মহর্ষিণী গিরিমা ( ভবার মুনমুন মা) , বিশিষ্ট মডেল ও অভিনেত্রী শ্রীমতি সুচরিতা গুহরায়।
এছাড়াও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের পারফর্মার লুকোচুরি ঘোষ, কমেডিয়ান ও বিশিষ্ট গায়ক, অভিনেতা, সঞ্চালক শ্রী উৎপল ঘোষ এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিশিষ্ট চিত্র সাংবাদিক ও এসএস নিউজ ওয়ান ডিজিটাল চ্যানেলের ফাউন্ডার শ্রী সুবল সাহা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অত্যন্ত আনন্দ এবং উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বিভিন্ন পুজো কমিটি এই পুরস্কার গ্রহণ করে এবং তারা বলে সংবাদমাধ্যমের এই পুরস্কার প্রদান তাদেরকে আগামী দিনে আরো ভালো উদ্যোগের জন্য অনুপ্রেরণা দেয়।
এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সংঘ আদ্যাপীঠের সাধারণ সম্পাদক কাম ট্রাস্টি ব্রহ্মচারী মুরাল ভাই ও বালানন্দ আশ্রমের ইনচার্জ সুমেধানন্দ মহারাজ। চ্যানেলের পক্ষ থেকে জানানো হয় ক্ষুদ্র সামর্থ্যের মধ্যে এইসব পুজো কমিটির উৎসাহে এবং সকলের সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে আগামী বছর পরিক্রমা আরো সুন্দর হবে বলে তারা আশা করছে।