বধূ কে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় আসামি স্বামীর যাবজ্জীবন বারাসাত আদালতের

Spread the love

বধূ কে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় আসামি স্বামীর যাবজ্জীবন বারাসাত আদালতের

মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

শুক্রবার বারাসাত আদালতে ফাস্ট ট্র‍্যাক (দ্বিতীয়) এজলাসে বিচারক সংযুক্তা সেনগুপ্ত এক বধূ হত্যা মামলায় ‘আসামি’ স্বামী কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত এক বছরের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন। গত বৃহস্পতিবার এই এজলাস অভিযুক্ত কে দোষী সাব্যস্ত করে থাকে।গত ২৯.১২.২০২১ সালে বিধান মিস্ত্রী নামে এক ব্যক্তি দত্তপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যে,তাঁর মেয়ে স্বপ্নার সহিত কবরখোলা নবপল্লী, থানা বারাসাত এর বিশু দাসের ছেলে চঞ্চল দাসের হিন্দু শাস্ত্র মতে বিবাহ হয় এবং বিয়ের পর ওরা দুজন দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত বরবরিয়া তে সৌরভ মন্ডলের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।গত ২৮.১২.২০২১ তারিখে রাত ১১.৩০ মিঃ নাগাদ ওনার মেয়ের ভাড়া বাড়িতে তার স্বামী চঞ্চল ওনার মেয়ে স্বপ্নার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। অভিযোগকারীর মেয়ে বারাসাত হাসপাতালে সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি, এবং এই মর্মে দত্তপুকুর থানায় একটি এফআইআর হয়। দত্তপুকুর থানার এসআই মনোজ কুমার দাস তদন্ত শুরু করেন। স্বপ্না ৯৫ শতাংশ বার্ন ইনজুরি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এবং ২ রা জানুয়ারি ২০২২ সে বারাসাত হাসপাতালে মারা যায়। বারাসাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বপ্না মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দিয়ে যান।সেখানে সে জানিয়ে দেয় তার স্বামী চঞ্চল তার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে দেশলাই জ্বালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। তদন্তের শেষে এসআই মনোজ কুমার দাস ১৪ জন সাক্ষী কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং আসামির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ এর ক, ৩০৪ বি এবং ৩০২ ধারায় চার্জশিট দাখিল করেন। এই মামলাটি বারাসাত আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক (দ্বিতীয়) বিচারক সংযুক্তা সেনগুপ্তের এজলাসে বিচার হয়। এবং ১৪ জন সাক্ষীর বয়ানের শেষে গত বৃহস্পতিবার আসামিকে ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন।শুক্রবার সাজা ঘোষণা হয় । এই মামলায় সরকারি আইনজীবী উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক পাবলিক প্রসিকিউটার সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *