বন্যা পরিস্থিতিতে প্রশাসনের দিনে রাতে সজাগ দৃষ্টি
সেখ সামসুদ্দিন, ১৮ সেপ্টেম্বরঃ গত কয়েকদিনের বৃষ্টি আর তার উপর ডিভিসি থেকে জল ছাড়ায় জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন পুরোপুরি মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। গতকাল থেকেই দেখতে পাওয়া যায় পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ভূতনাথ মালিক, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান, বিডিও পার্থসারথিতে সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করেছেন। কাল বিকাল থেকেই ব্লকেই রয়েছেন এডিএম ডেভেলপমেন্ট প্রসেনজিৎ দাস ও বর্ধমান সদর দক্ষিণ মহকুমা শাসক বুদ্ধদেব পান। সকাল থেকেই ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চল ছুটে বেড়াচ্ছেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান। তার সাথে রয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক সহ-সভাপতি ভূতনাথ মালিক। তারা বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে গিয়ে সেখান থেকে মানুষজনদের নিয়ে এসে যে রিলিফ সেন্টার করা হয়েছে সেখানে পৌঁছে দিচ্ছেন। অঞ্চলের জেলে পাড়ার এক গর্ভবতী মহিলাকে নিজেরা গিয়ে নিয়ে এসে সেন্টারে রাখেন মেহেমুদ খানসহ অন্যান্যরা। অপরদিকে সকাল থেকেই ব্লকের বিভিন্ন গ্রামগুলোতে ঘুরছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক ডেভেলপমেন্ট প্রসেনজিৎ দাস ও বর্ধমান সদর দক্ষিণ মহকুমা শাসক বুদ্ধদেব পান, তাদের সঙ্গে রয়েছেন জামালপুরের বিডিও পার্থসারথী দে। সারারাত ব্লক অফিসে তারা জেগে কাটিয়েছেন এবং প্রতিমুহূর্তে আপডেট নিয়েছেন মানুষের সমস্যা শুনলেই সেখানে পৌঁছে গেছেন। পার্থসারথি দে আমাদের বলেন বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫০০ মানুষ কে রিলিফ সেন্টারে নিয়ে এসে রাখা হয়েছে। তাদের থাকা-খাওয়া এবং অন্যান্য সমস্ত বিষয় দেখছে ব্লক প্রশাসন। তিনি আরো জানান ইতিমধ্যে ব্লকের প্রায় ছয় থেকে সাতটি গ্রামে নদীর জল ঢুকেছে। অযথা কাউকে তিনি ভয় খেতে বারণ করেন ব্লক প্রশাসন সর্বদা মানুষের পাশে রয়েছে। তিনি আরো জানান ইতিমধ্যেই ব্লকে এনডিআরএফের ৩০ জন ব্লকের সোনারগরিয়া হাই স্কুলে রাখা হয়েছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী তাঁদের ব্যবহার করা যায়। মেহেমুদ খান বলেন ব্লক প্রশাসন সতর্ক আছে সব সময়। বিভিন্ন রেসকিউ সেন্টারে মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি নিজে আছেন ফিল্ডে। তিনি সমস্ত ব্লক নেতৃত্বদের এই সময় সতর্ক থাকতে বলেছেন। এই সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন।