সাধন মন্ডল,
নিম্নচাপের জেরে কয়েক দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিতে জলমগ্ন বাঁকুড়া জেলার মাঠঘাট নদী নালা ।জেলার কংসাবতী, শিলাবতী, দারকেশ্বর ,গন্ধেশ্বরী, জয়পন্ডা, শালী সহ সমস্ত নদীতে দুই কুল ছাপিয়ে বন্যা বইছে। অন্যদিকে গতকাল সকাল থেকে শিলাবতী নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম নয় নম্বর রাজ্য সড়কযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। শিলাবতি নদীর উপর শিমলাপাল এর কাছে যে সেতুটি রয়েছে সেই সেতুটির উপর দিয়ে জল বয়ে যাওয়ায় পারাপার বন্ধ ছিল ।সতর্ক ছিল এবং বর্তমানে রয়েছে সিমলাপাল থানা পুলিশ প্রশাসন। নদীর দুই প্রান্তে সিভিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যাতে কেউ বিপদজনক ভাবে নদী পারাপার না করেন। অন্যদিকে কংসাবতী জলাধারে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় আজ সোমবার সকাল ১১ টা থেকে ১০, হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে কংসাবতী নদীতে। এর ফলে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ও রায়পুরের নদীর তীরবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করেছেন জেলা প্রশাসন। এই জল ছাড়ার ফলে ঘাটাল ,দাসপুর এলাকার বন্যা পরিস্থিতি উদ্বেগ জনক হতে পারে। সিমলাপাল এর সেতুটি অবিলম্বে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা বলেন প্রতি বছরই বৃষ্টির কারণে এই কজওয়েটির উপর জল উঠে যায় ফলে বাঁকুড়া শহরের সাথে দক্ষিণ বাঁকুড়ার রায়পুর সারেঙ্গা সিমলাপাল এলাকার মানুষজনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম ৯ নম্বর রাজ্য সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বামফ্রন্টের আমল থেকে এই সেতুটি বড় করে করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষজন কিন্তু আজও সেতুটি উঁচু করে হলো না কবে হবে সেদিকেই তাকিয়ে এলাকাবাসী।