বমাল সহ জামতারা গ্যাঙের এক সদস্য আটক খয়রাসোল থানায়
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- প্রতারনা চক্রের জাল দিন দিন বেড়েই চলেছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে।বহু ব্যাক্তি সেই জালে পড়ে গিয়ে তার সর্বস্য খোয়াতে হয়েছে।কখনো ব্যাঙ্কের নামে ফোন করে ওটিপি চাওয়া,কখন এটিএম জালিয়াতি ইত্যাদি ভাবে চক্রটি কাজ করছে বলে খবর।সেইরূপ ১৪ ই জুন দুপুরের দিকে গোপন সূত্রে খবর পায় খয়রাশোল থানার পুলিশ যে খয়রাসোল স্টেট ব্যাঙ্কের লাগোয়া এটিএম র কাছাকাছি এক অপরিচিত ব্যক্তি ঘোরাঘুরি করছে। পুলিশ নজরদারি রাখতে শুরু করেন এবং স্থানীয় স্টেট ব্যাংকের এটিএম থেকে বের হতেই পুলিশ তাকে আটক করে। এরপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ব্যক্তি তার ঠিকানা বলে। সেক্ষেত্রে পুলিশের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়।জানা যায় ধৃতের নাম সজল গোপ। বাড়ি ঝাড়খন্ড রাজ্যের জামতারা জেলার বাগডহরি থানার মুরাবেরিয়া গ্রামে।উল্লেখ্য মুরাবেরিয়া গ্রামটি ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী বীরভূম জেলার খয়রাশোল এবং লোকপুর থানার গা ঘেঁষে। বিশেষ উল্লেখযোগ্য উক্ত গ্রামটির অনেক যুবক সাইবার ফ্রড এর সাথে যুক্ত বলে পুলিশের কাছে খবর ।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা ফ্রড করে একাউন্ট তৈরি করে ।সেই একাউন্টে কোন ব্যক্তির টাকা আত্মসাৎ করে ক্রেডিট করায় ।এরপর সেই একাউন্টের এটিএম কার্ড দিয়ে তাদের পরিচিত ব্যক্তি বা দলের সদস্যদের কে ঝাড়খণ্ড পার্শ্ববর্তী লোকপুর, খয়রাশোল, কাঁকরতলা, দুবরাজপুর সহ বিভিন্ন এটিএম গুলিতে টাকা তোলার জন্য পাঠানো হয়।ইতিপূর্বে অনুরূপ ভাবে টাকা তুলতে গিয়ে লোকপুর থানার বারাবন গ্রামে একটি সিএসপি থেকে আটক হতে হয়। এদিনের ধৃত ব্যক্তির কাছ থেকে চারটি এয়ারটেল পেমেন্ট ব্যাংক এর এটিএম ডেবিট কার্ড উদ্ধার হয়েছে,যা বিভিন্ন লোকের নামে একাউন্ট আছে ।এছাড়াও তিনটি মোবাইল ফোন এবং বিভিন্ন সময়ে এটিএম কাউন্টার থেকে তোলা ৪৭ হাজার ৫০০ নগদ টাকা ।পুলিশ সূত্রে খবর আইনের নির্দিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল কান্ডারীকে ধরার চেষ্টা চালানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে ।তাছাড়াও যাদের একাউন্ট ব্যবহার করে এই দুষ্কর্ম করছে তাদের ডিটেইলস পেতে ব্যাংকের সাথেও যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
