মোল্লা জসিমউদ্দিন,
এবার পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাপরিষদ সদস্য সেখ নুরুল হাসান এবং তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠলো একদল দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে। সিসিটিভির ফুটেছে এহেন চোরাগোপ্তা হামলার ছবি উঠে এসেছে। বোমাবাজির ঘটনাটি নিয়ে বর্ধমান সদর থানায় পরপর দুটি অভিযোগও জমা পড়েছে। অভিযোগগ্রহণের সাথেসাথেই পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে অভিযোগকারী শাসক দলের জেলাপরিষদ সদস্যর অভিযোগটি গুরতর। যেখানে দলেরই একাংশর হাতে প্রাণহানির আশংকা করছেন জেলাপরিষদ সদস্য। যদিও লিখিত অভিযোগপত্রে অভিযুক্তদের দলের কোন উল্লেখ নেই, তবে অভিযুক্তেরা শাসক দলেরই অপরগোস্টীর বলে এলাকায় পরিচিত। হামলাকারীদের সাথে নেতা – মন্ত্রী সহ পুলিশের একাংশের যোগ আছে বলে অভিযোগত্রে উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগকারী জেলাপরিষদ সদস্য সেখ নুরুল হাসান মূল অভিযুক্ত মানস ভট্টাচার্যের মোবাইল ফোনের কললিস্ট এবং লোকেশন ট্র্যাকিং রিপোর্ট প্রকাশের দাবিও তুলেছেন। মঙ্গলকোট থেকে সশস্ত্র দুস্কৃতিদের এনে খুনের ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই জেলাপরিষদ সদস্য। অভিযুক্ত কাকলী গুপ্ত, সেখ জামাল এবং মানস ভট্টাচার্যরা অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এলাকা সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার গভীররাতে বর্ধমান সদর থানার দেওয়ানদিঘী সংলগ্ন ভোতার গ্রামে সেখ নুরুল হাসান এর পৈতৃক বাড়িতে মোটরসাইকেলে আসা সশস্ত্র দুস্কৃতিদের আগমন ঘটে। এরপর পরপর দশের কাছাকাছি বোমা ছোড়া হয় জেলাপরিষদ সদস্যর বাড়ী সহ তার ভাইয়ের বাড়িতে। বাড়ীর জানালা সহ দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রান্নার সিলিন্ডার থাকায় বড় বিস্ফোরণ ঘটতে পারতো। তবে ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না জেলাপরিষদ সদস্য সেখ নুরুল হাসান। উল্লেখ্য, তিনি নবাবহাটে এক আবাসনে বসবাস করে থাকেন। একটি সুত্র জানাছে, বরাবরই বর্ধমান ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারী এবং ব্লক নেতৃত্বের সাথে বনিবনা নেই নুরুল হাসান অনুগামীদের। সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েত সমিতির বাৎসরিক উন্নয়নের অর্থে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন জেলাপরিষদ সদস্য। তাই সেই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে।