বর্ষবরণ উৎসবে করোনা স্বাস্থ্যবিধির প্রয়োগ চায় কলকাতা হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু ,
চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে বিশ্বব্যাপি মারণ ভাইরাস করোনা ভাইরাসের পাদুর্ভাব ঘটে।সারা বিশ্বে প্রায় দশমাসে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই করোনা সংক্রমণের হানায় মারা গেছেন। এই বাংলাও শয়ে শয়ে ব্যক্তিদের মৃত্যু দেখেছে করোনা পজিটিভে।সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত করোনা রোধে চুড়ান্ত কোন প্রতিষেধক আবিস্কার করতে পারেননি।তবে চেস্টা চলছে অবিরাম গতিতে।এরেই মাঝে করোনা ভাইরাসের সবথেকে বিপদজনক হানার সূত্রপাত ঘটেছে ব্রিটেনে। ব্রিটেন থেকে সেই ভাইরাসের নুতন সংক্রমণ ভারতেও নাকি প্রবেশ করেছে। পুলিশ থেকে চিকিৎসক করোনায় ‘প্রাণ’ বলিদান দিয়েও আমাদের জনসচেতনতা বাড়াতে পারেননি। এরেই মাঝে বড়দিন উৎসব উপলক্ষে মহানগরীর জনসমুদ্র দেখে আতঙ্কিত কলকাতা হাইকোর্ট। উৎসব পালনে মাস্কহীন মানুষদের নেই কোন শারিরীক দূরত্ব।মোবাইলে সেলফিতে ওদের যেন করোনা উদাও! কিন্তু বাস্তব বলছে অন্য কথা।ক্রিকেটে ওয়ানডে ম্যাচের মতন না হলেও টেস্ট ম্যাচে রানের সংখ্যা দু – এক করে ক্রমশ বাড়ছে করোনার হানায় মৃতের সংখ্যা । কলকাতা হাইকোর্ট ইতিপূর্বে বাঙালির সেরা পার্বণ দুর্গাপুজোয় দর্শকশুন্য মন্ডপ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল করোনা সংক্রমণ এড়াতে। আবার কালিপুজো – ছটপুজো এমনকি মহরমের শোভাযাত্রায় ছিল করোনা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার কঠোর নির্দেশ। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ আসন্ন বর্ষবরণ উৎসবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে রাজ্য কে কড়া নির্দেশ দিলো।বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বড়দিন উৎসব উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষের মুখে মাস্কহীন ছবি দেখে কলকাতা হাইকোর্ট এই নির্দেশ টি দেয় রাজ্য কে।রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিব কে করোনা স্বাস্থ্যবিধি কঠোর ভাবে পালন করতে নজরদারি রাখতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মুখে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক এবং স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে।বর্ষবরণে বাড়তি জমায়েত যেন না হয় সেই ব্যাপারে রাজ্য কে এদিন নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।