বসিরহাটের বিজয়া সম্মিলনী থেকে বিরোধী শূন্য করার বার্তা তৃণমূল কংগ্রেসের
বিশেষ প্রতিবেদন, হাসনাবাদ:
দুর্গাপুজোর পর রাজ্য জুড়ে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক লড়াইয়ের মাঠে বুঝে নিতে নভেম্বর মাস থেকেই ঝাঁপাতে শুরু করছে রাজ্যের শাসক দল। এ ব্যাপারে রাজ্যের সমস্ত জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ এসেছে দলের পক্ষ থেকে। ২ নভেম্বর থেকেই এই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। জনসাধারণের মন বুঝে নিতে এবং জনসংযোগ বজায় রাখতে বছরের প্রতিটি সময়ের পাশাপাশি নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই মাঠে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। দুর্গাপুজোর পর এবার জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন রাজ্যের শাসক দলের। বিজয়া সম্মিলনীর দৌলতে আগামী নির্বাচনের আগে জনমতের ভিত আরও মজবুত করতেই এই আয়োজন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে। ২ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ৯ দিন রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করছে তৃণমূল। উত্তর থেকে দক্ষিণ সবকটি জেলাতেই অঞ্চল ভিত্তিক এই সম্মিলনীর আয়োজন করা হচ্ছে। সম্মিলনীর মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আগামী লোকসভার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা পাশাপাশি মানুষের মনোভাব বুঝে নিতে এখন থেকেই ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখযোগ্য বিষয় রাজ্যোর জনবহুল জেলা উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৮২টি বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।৩ রা নভেম্বর শুক্রবার সুন্দরবন লাগোয়া বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার হাসনাবাদ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনীতে উঃ ২৪ পরগানা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াকু মুখ তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্রী নারায়ন গোস্বামী বলেন রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে প্রকল্প চালু আছে তা বিরল। এই প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিতে সারা বছর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যায়। দুর্গাপূজা পরবর্তী বিজয়া সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে সম্প্রীতির বার্তা বহন করে চলে তৃণমূল কংগ্রেস।পাশাপাশি যে কোন নির্বাচনে বিরোধীদের কুপোকাত করতে তৃণমূল কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ বলে তিনি জানান। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরুণ লড়াকু মুখ পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাদ্রাসা টিচার্স টিচার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি তথা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন বসিরহাটের মাটি সম্প্রীতির ঘাঁটি এখানে সর্বধর্ম সমন্বয়ের যে মেলবন্ধন স্থাপিত আছে তা কোনভাবেই দাঙ্গাবাজ বিজেপি ভাঙতে পারবে না। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা যে বিজয়ী সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে পুরনো কর্মীদের সম্মান প্রদান করছে।ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার পরবর্তী লক্ষ্য সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তৃণমূল স্তরে নেমে সাধারণ মানুষের পরিষেবা প্রদানে জনপ্রতিনিধিরা দায়বদ্ধ বলে তিনি জানান তাই মানুষের পরিষেবা দুয়ারে পৌঁছে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাকে সামনে রেখে তারা এগিয়ে যাবে বলে কর্মাধ্যক্ষ ফারহাদ এর মুখে ব্যক্ত হয়ে ওঠে।
উক্ত রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক শ্রী দেবেশ মন্ডল, রফিকুল ইসলাম,জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্যের কর্মাধ্যক্ষ অজিত সাহা,অধ্যক্ষ আরসাদ উদ জামান,টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখার্জী,হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলাম গাজী, সহ-সভাপতি স্কেনদার গাজী, জেলা পরিষদের সদস্য রঞ্জিত দাস,সৌরেন্দ্রনাথ পাল,স্বপন দাস, পুষ্পিতা সরকার, কর্মাধ্যক্ষ আসলাম গাজী,এটিএম আবদুল্লাহ,বিকাশ সরদার, গৌতম কয়াল, প্রধান তাসলিমা বেগম প্রমুখ।