বহরমপুর পুরসভার খোলা মঞ্চে প্রকাশিত হল চাতক রমযান সংখ্যা ২০২৩
ফারুক আহমেদ
বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ ২৯২৩ বেলা দুটোর সময় বহরমপুর পুরসভার খোলা মঞ্চে প্রকাশিত হল চাতক রমযান সংখ্যা ২০২৩। আনুষ্ঠানিক ভাবে রমযান সংখ্যা প্রকাশ করলেন বিভাগোত্তর এবঙ্গের বাঙালি মুসলমানদের মর্যাদার অন্বেষক, ইতিহাসবেত্তা খাজিম আহমেদ এবং বিশিষ্টতম চিকিৎসক, সিটি হাসপাতালের কর্ণধার ডা: আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তায়েদুল ইসলাম, চাতক সম্পাদক শেখ মফেজুল।
এদিন চাতক রমযান সংখ্যা আনুষ্ঠানিক প্রকাশের পর প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন বিশিষ্টতম চিকিৎসক, সিটি হাসপাতালের কর্ণধার আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন বিভাগ পরবর্তী পশ্চিমবাংলায় একটা নিদিষ্ট সময় পর মুসলমান জনগোষ্ঠীর মর্যাদা অনুসন্ধানে একটা ভাটা পড়েছিল। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে উজ্জীবিত করতে মুসলমানদের মর্যাদার অনুসন্ধানের পাশাপাশি সংস্কৃতি জগতে ভূমিকা পালন করছেন ব্যতিক্রম একটি পত্রিকা চাতক। চাতক ধারাবাহিক রমযান, ঈদ ও মহানবী সংখ্যা প্রকাশ ছাড়াও অনন্যা সংখ্যাগুলোও প্রকাশ করে আসছেন। আগামিতে চাতক এক মর্যাদাবান পত্রিকা হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে আমার এ বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। চাতক এর সাফল্য কামনা করছি এবং আমি নিজেও চাতক এর সঙ্গে আছি।
বিভাগ পরবর্তী এবঙ্গের মুসলমানদের আত্মমর্যাদার অন্বেষক খাজিম আহমেদ বলেন পৃথিবীর তৃতীয়তম জনগোষ্ঠী বাঙালি মুসলমান, এই বাঙালি মুসলমানের জীবন কর্মধারা, তাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা কাহিনী সাহিত্য সংস্কৃতিতে স্থান পায় না, এব্যাপারে বিভাগ পরবর্তী পশ্চিমবাংলা একেবারে তলানিতে বলা যেতে পারে। এ বাংলার এই চেতনার ক্ষেত্রে অনেকটা এতিম আছে। এটা একটা আন্দোলন, যা ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একাজ করে চলেছে চাতক। আমরা ইসলামি বা মুসলমানদের সাহিত্য সংস্কৃতি তৈরি করতে চাই না, চাই বাঙালি মুসলমানদের সংস্কৃতি মননচর্চার অঙ্গন তৈরি করতে। চাতক এর বিভিন্ন সংখ্যা গুলি বাঙালি মুসলমানদের মর্যাদার অন্বেষনে পথ দেখাচ্ছে, উজ্জীবিত করছে, এজন্য চাতক পত্রিকার সম্পাদক শেখ মফেজুলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা চাই এ প্রক্রিয়া অক্ষুন্ন থাকুক। চাতক পত্রিকাকে আরো বৃহত্তম জগতে নিয়ে যেতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বিশিষ্ট সমাজকর্মী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তায়েদুল ইসলাম বলেন এই প্রথম পশ্চিমবাংলার মুসলিম জনগোষ্ঠীর মুখ হিসাবে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে আসছে চাতক। মহানগর কেন্দ্রিক অঙ্গনের দিকে আমরা উন্মুখ হয়ে থাকলেও মূলত গ্রামীন স্তর থেকেই বিভিন্ন সংখ্যা প্রকাশ করে আসছেন চাতক। চাতক রমযান সংখ্যা প্রকাশ হল গ্রামীন স্তর থেকে, কিন্তু মহানগরের অনেক প্রথম সারির পত্রিকা যা দুমাস পর করে বা করতেই পারে না অথচ রমযান শুরুর কয়েক ঘন্টা আগেই চাতক তা করে দেখালো।
প্রকাশ অনুষ্ঠানে সম্পাদক শেখ মফেজুল বলেন আমাদের আগামী্ দিনের ইচ্ছা মুসলমান মহিলাদের পাশপাশি বাঙালি মুসলমানদের নানা অঙ্গনের চর্চাকে তুলে ধরা। এই সাহিত্যের ধারাকে অক্ষুন্ন রাখতে আমরা গল্প, উপন্যাস বা নানা প্রবন্ধ নিবন্ধে মুসলমানদের জীবনচর্চাকে তুলে ধরতে চাই। সম্পাদক আরও বলেন আমাদের পাশে দাঁড়ান, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সম্পাদক শেখ মফেজুল।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডাক্তার এম আর ফিজা, কবি ইমতিয়াজ কবীর, কবি নাদিরা খাতুন প্রমুখ।