কাজী নূর।। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর ছোড়া গুলিতে মোহাম্মদ রইস উদ্দীন নামে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (বিজিবি) সদস্য নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের যশোর জেলার শার্শা থানার বেনাপোল সীমান্তের ধান্যখোলায়। নিহত মোহাম্মদ রইস উদ্দীন ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির বেনাপোল সীমান্তের ধান্যখোলা জেলেপাড়া বিজিবি ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে। ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি।
২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে যশোর- ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল হোসাইন আহম্মেদ জামিল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘটনার সত্যতা জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ জানুয়ারি ভোরে ধান্যখোলা সীমান্তের জেলেপাড়া পোস্ট এলাকা দিয়ে একদল চোরাকারবারি ভারত থেকে চোরাইপথে গরু আনছিল। বিষয়টি টের পেয়ে বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারিদের ধাওয়া দিলে তারা ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিজিবি সদস্য রইস উদ্দীন ঘন কুয়াশার কারণে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলে পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের বনগাঁর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বিজিবি সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল হোসাইন আহম্মেদ জামিল আরো বলেন, ‘ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কে বিষয়টির ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানো এবং কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও মৃতদেহ বাংলাদেশে দ্রুত ফেরত আনার বিষয়ে সকল পর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এদিকে স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভোরে ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন তারা। পাচার হওয়া গরু বিজিবি ক্যাম্পে আটক রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।যদিও গরু পাচারে এই ঘটনার কোন যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে