বাংলার নির্বাচনে হস্তক্ষেপে রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট

Spread the love

মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,

 
আর হাতে মাত্র কয়েকমাস দেরি পশ্চিমবাংলার একুশে বিধানসভা নির্বাচন হতে।সম্ভবত ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চেই ঘোষণা হতে পারে ভোটের দিনক্ষণ। ইতিমধ্যেই ভোটের প্রাক প্রস্তুতি দেখতে বাংলায় দফায় দফায় আসাযাওয়া শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে পুনিত কৌড় ধান্দা নামে এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে মামলা দাখিল করেছিলেন বাংলায় অবাধ স্বচ্ছ নির্বাচন চেয়ে।দাখিল করা মামলায় পিটিশনে আর্জি ছিল দীর্ঘ।কি ছিল না তাতে! বিরোধী দলের নেতাদের  নিরাপত্তা প্রদান থেকে ভুয়ো ভোটারে নির্বাচন কমিশনের স্ট্যাটাস রিপোর্ট। অবাধ, স্বচ্ছ নির্বাচন দাবির পেছনে যুক্তি দেখানো হয়েছিল – ‘৩০০ এর বেশি বিরোধী দলের নেতা কর্মী খুন, দলদাস পুলিশের নিস্ক্রিয়তা, আইনশৃঙ্খলায় অবনতি, মানবাধিকার লুন্ঠিত’।তবে এত কিছুতেও কোন হস্তক্ষেপে রাজি নয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত, বিচারপতি সুভাষ রেড্ডির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। মামলাকারী আইনজীবীর বাড়ি কোথায় তা ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চেয়ে পত্রপাঠ করে খারিজ হয়ে যায় এই মামলা।মামলাকারী আইনজীবী জানিয়েছেন তার বাড়ি – ‘ দিল্লি ও পাঞ্চাবে’। আইনজীবী মহলের ধারণা, ভারতীয় সংবিধান প্রদত্ত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কে স্বতন্ত্র ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ভোটের বিষয়ে। তাই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য সহ অভিযোগ না থাকলে সাধারণত আদালত কোন হস্তক্ষেপ করেনা।ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বাংলায় এসে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য আগাম হুশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে। এক ধাপ এগিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে – ‘নির্বাচনে পুলিশের কোন গাফিলতি পেলে তারা সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করবে’। তাই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের এহেন রনংদেহী অবস্থানে আবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষে ইতিবাচক। তাই সেখানে আদালত আগ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাজে  কোন হস্তক্ষেপে করতে রাজি নয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *