বাংলা ভাষা প্রসার কর্মশালা আয়োজনে বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমি,
অন্তরা সিংহরায়
“মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা! ” অতুল প্রসাদ সেনের এই জনপ্রিয় গানের লাইনগুলিকে সাথে নিয়ে বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমি আয়োজন করলো কাঁঠালদহ বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (শ্যামপুর হাওড়া জেলায় অবস্থিত ) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল “বাংলা ভাষা প্রসার কর্মশালা ২০২৩”। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন এর মাধ্যমে। এরপর বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমির পতাকা উত্তোলিত হয়। মূলত নবীন প্রজন্মের মনে বাংলা ভাষার প্রতি আবেগ, ভালোবাসা এবং উৎসাহ প্রদানের উদ্দেশ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমি আয়োজিত এই কর্মশালায় মূলত এই সময়ে বিদ্যলয়ের ছাত্র/ছাত্রীদেরকে পাঠ্যপুস্তক বহির্ভূত বাংলা বিষয়ে লিখিত প্রশ্নপত্র এবং মৌখিক কথোপকথনের বিনিময়ে তাদের মাতৃভাষা চর্চা সম্পর্কে ধারণা অবলোকন এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল। বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমি অধিভুক্ত বঙ্গভূমি সাহিত্য পত্রিকা ও মঙ্গলদীপ সাহিত্য পত্রিকা এই কর্মশালার সহ আয়োজক হয়ে অংশগ্ৰহণ করে। অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমি অধিভুক্ত আরো বেশ কিছু পত্রিকার সম্পাদকগণ। এই কর্মশালায় অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন কবি ও সাহিত্যিক অর্ণব দত্ত, সহদেব দোলুই -সম্পাদক বঙ্গভূমি সাহিত্য পত্রিকা, সুরজিৎ কোলে -মঙ্গলদীপ সাহিত্য পত্রিকা । এছাড়া এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন কবি ও সাহিত্যিক প্রবীর দে -বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমির সম্পাদকীয় বোর্ড পরিচালক, সম্পাদক আবহমান সাহিত্য পত্রিকা, দীপঙ্কর নায়েক-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমি’ সম্পাদক সাহিত্য সাগর সঙ্গমে এবং চঞ্চল মাইতি-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সম্পাদক তরঙ্গ সাহিত্য জীবন পরিবার, কবি প্রশান্ত সামন্ত, প্রতিনিধি বঙ্গ সাহিত্য পত্রিকা। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন শ্যামপুর ব্লক ২ কাঁঠালদহ বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রী অভিজিৎ প্রামানিক সহ সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকা । বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমি সভাপতি সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায় কাঁঠালদহ বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে “বিশ্ব বঙ্গীয় সাহিত্য কলা সম্মান ২০২৩” প্রদান করেন এবং সংস্থা থেকে মোট ৭৪ জন ছাত্রছাত্রীকে কর্মশালায় অংশগ্ৰহনের শংসাপত্র সহ প্রতিটি বিভাগের প্রথম তিন স্থানাধিকারীকে পুরস্কার এবং শংসাপত্র প্রদান করা হয় ।
আগামী দিনে এরকম জেলা ভিত্তিক কর্মসূচি নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানটি সফলভাবেই সম্পন্ন হয় এবং ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক বৃন্দের উপস্থিতিতে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ জয়েন্ট বিডিও এবং বিডিও কতৃর্ক অনুষ্ঠানটি প্রশংসিত হয়।