বাউল আঙ্গিকের বিশেষ কর্মশালা বর্ধমানে।
প্রীতিলতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
মাটির গান বাউল, এবং এই বাউল গান কে আরো বেশি করে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে একদিনের এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা উদয়চাঁদ গ্রন্থাগারে।
আয়োজক ছিল মণিকর্নিকা, সহযোগিতায় বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। ব্যবস্থাপনায় ছিল সংগীতশিল্পী মনিদীপা মজুমদার এবং তার ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রাম শঙ্কর মন্ডল, বঙ্গভূষণ প্রাপক পশ্চিমবঙ্গ বাউল একাডেমির সভাপতি ও স্বনামধন্য বেতার শিল্পী কার্তিক দাস বাউল, বর্ধমান সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক কাশীনাথ গাঙ্গুলী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট মানুষেরা।
এ বিষয়ে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রাম শঙ্কর বাবু তার বক্তব্যে বলেন, রাজ্য সরকার বরাবরই বাউল শিল্পীদের এবং লোকো শিল্পীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এসেছে এবং বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।।। তিনি বলেন বাউল গান হলো প্রাণের গান। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পক্ষ থেকে বরাবরই এইরকম ধরনের কর্মশালা আয়োজন করা হয় অথবা যারা এই ধরনের কর্মশালার আয়োজন করে তাদের পাশে থাকে।
এই বিষয়ে বিশিষ্ট বাউল শিল্পী কার্তিক দাস বাউল তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মে বাউল গান আগের মতোই জনপ্রিয় আছে মানুষের কাছে তবে কিছু বাউল শিল্পীদের জন্য এই বাউল ঘরানাটা অল্পবিস্তর সমস্যার কারণে মধ্যে পড়ে।। তবে বাউল হল মাটির গান আর মাটির গান মন এবং জীবনের সাথে মিশে থাকে।
আজ এর এই কর্মশালায় প্রশিক্ষণ নিতে আসা যমুনা চ্যাটার্জি,বৃতি মল্লিক,কাজল দেবী, শুক্লা গাঙ্গুলী তারা বলেন এই ধরনের কর্মশালায় প্রশিক্ষণ নিতে আসতে পেরে তারা খুবই উপকৃত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মশালা যাতে আরো হয় তাহলে তারা উপকৃত হবে বলে জানায়।
প্রশিক্ষিত মনিদীপা মজুমদার তিনি জানান, সকলের প্রচেষ্টাতে আজকের এই কর্মশালা আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে।পাশাপাশি এদিনের কর্মশালায় শ্যামা পদ চৌধুরীর আবেগময় সঞ্চালনায় এক নতুন রূপ পায়।
