বাউল গানে পাটের চাষ, মন কাড়ছে চাষিদের
সম্প্রীতি মোল্লা,
আঞ্চলিক শিল্পীদের মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের প্রচার নতুন কিছু নয়, তবে এবার উচ্চ ফলনশীল পাটের প্রচারেও ব্যবহার করা হচ্ছে বাউলগান। নুজিভীডু সিডস কোম্পানীর তৈরি রাজা পাট এবছর ফলন হয়েছে ভালোই। এখন পাট পচানোর সময়। তাই পাট চাষীদের কিছুটা আনন্দ দিতে দক্ষিণ দিনাজপুরের দিওর গ্রামে পাট চাষীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হল বাউল গানের আসর। বোলপুর শান্তিনিকেতনের বিখ্যাত বাউল শিল্পি উত্তমদাস বাউল গেয়ে শোনান রাজা পাট নিয়ে তার গান। সঙ্গে অবশ্য গ্রামের এক বাউল শিল্পিও বাউল গানে মাতিয়ে তোলেন দর্শকদের।
রাজা পাটের বীজ উৎপাদনকারী সংস্থাও এই গান শুনে খুশি।
এই বীজ প্রস্তুতকারক সংস্থা,নুজিভীডু সীডস এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই পাট একর প্রতি অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা লাভের সুযোগ করে দিচ্ছে চাষিদের। এটা সম্ভব হয়েছে পাটের লম্বা আঁশ এবং অন্যান্য প্রজাতির চেয়ে এর একর প্রতি ন্যূনতম বাড়তি ২ কুইন্টাল উৎপাদন বেশি হওয়ার ফলে। সংস্থার দাবি, রাজা এন জে ৭০০৫ পাটের একটি নতুন প্রজাতি যা ২০২০ সালে চালু হয়েছে। তার পর থেকে পাট চাষের দুনিয়া অনেকটাই বদলে গেছে। এন জে-৭০০৫ রাজা পাটের এই ভ্যারাইটি নুজিভীডু সীডস এর গবেষণা বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ মোহাম্মদ মসিউর রহমান কতৃক উদ্ভাবিত। এই চাষে খরচ অন্যান্য পাটের তুলনায় কম, সঙ্গে পাওয়া যায় উচ্চ ফলন, উচ্চতর গুণমানের তন্তু ও আগের চেয়ে বেশি লাভের সুযোগ। রাজা পাট চাষ করেছেন এমন চাষিরা জানিয়েছেন,আগের চেয়ে তাঁদের লাভের পরিমাণ বেড়েছে। তাই ভবিষ্যতেও এই বীজই চাষ করতে চান তারা। কারন অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় এই পাট দু ফুট বেশি লম্বা, অর্থাৎ বেশি ফলন, মোটা ছাল যা ফলন এবং তন্তুর গুণমান বাড়িয়েছে।
একথা শুনে তা নিয়েই গান গাইলেন বাউল শিল্পি। সেই গান শুনে খুশি গ্রামের মানুষ। যাঁরা এখনও এই বীজে চাষ শুরু করেনি, এই গান শুনে তাঁরাও রাজা পাট চাষে উৎসাহ পাচ্ছেন।