বাড়ছে আখের রস ও ডাবের চাহিদা
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, মঙ্গলকোট, পূর্ব বর্ধমান
গত কয়েকবছর ধরে বৃক্ষরোপণের পরিবর্তে যে হারে বৃক্ষচ্ছেদন বাড়ছে তাতে গতবছরই আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা ছিল এবছর গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা মোটামুটি ৪০° সে. থেকে শুরু হবে। তাদের আশঙ্কাকে মান্যতা দিয়ে হয়েছেও তাই। ইতিমধ্যে এই রাজ্যের তাপমাত্রা কোনো কোনো এলাকায় ৪০° সে. ছুঁই ছুঁই, কোথাও তার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে। মার্চের শেষলগ্নে ও এপ্রিলের শুরুতে তাপমাত্রার এই উর্দ্ধগতি আবহাওয়াবিদদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত দিয়ে মানুষকে সতর্ক থাকার এবং প্রচুর জলপান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু বিভিন্ন কাজে এবং পেশাগত কারণে এই প্রবল তাপমাত্রাকে উপেক্ষা করে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন। সঙ্গে পানীয় জল থাকলেও তাদের পিপাসা মেটানোর জন্য বিভিন্ন জাতীয় ও রাজ্য সড়কের ধারে আখ ও ডাব নিয়ে হাজির হয়ে গেছেন একদল মানুষ।
বর্ধমান থেকে বোলপুরগামী এনএইচ-২ বি সড়কের একাধিক জায়গায় দেখা যাচ্ছে এদের। এই রাস্তা ধরে কলকাতা থেকে অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়িতে শান্তিনিকেতন বা তারাপীঠ যায়। ফলে এই রাস্তায় ভিড় লেগেই থাকে। যাতায়াতের পথে তারা আখের রস বা ডাবের জল ব্যবহার করে তৃষ্ণা মেটায়। মাঝে মাঝে আখের রস ও ডাবের টানে স্থানীয়রাও ভিড় করে।
কলকাতা থেকে সপরিবারে তারাপীঠ যাওয়ার পথে গুসকরার কাছে জনৈক আখের রস বিক্রেতার সামনে গাড়ি থামান সল্টলেকবাসী ধনঞ্জয় মুখার্জ্জী। তিনি বললেন - এই সময় এদিক দিয়ে যাওয়ার সময় আখের রস খাই। বিটনুন সহযোগে খেতে ভালই লাগে। ঘাড় নাড়িয়ে সম্মতি জানায় তার কিশোরী কন্যা। এমনিতে মিষ্টি খেতে ভাল না লাগলেও আখের রস খেতে তার খুব ভাল লাগে।
স্থানীয় আখের রস বিক্রেতা গোবিন্দ বিশ্বাস বললেন - এইসময় আখের রস বিক্রি করে মোটামুটি ভাল আয় হয়। এখন অবশ্য চাহিদা দেখে ডাবও আনি।
অন্যদিকে গণপুরের রীভু ঘোষ বলল - সুযোগ পেলে মাঝে মাঝে বন্ধুদের সঙ্গে আখের রস খেতে চলে আসি। ভালই লাগে।