বাবা সাহেব ইস্যুতে তৃণমূলের মিছিলে জনজোয়ার
সেখ সামসুদ্দিন, ২৩ ডিসেম্বরঃ একদিকে বিজেপির কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলা অপরদিকে সুশৃঙ্খল তৃণমূলের মিছিলে জনজোয়ার। কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায় সংবিধান প্রণেতা বাবা সাহেব আম্বেদকরের বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছিলেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। তারই বিরোধিতা করে আজ রাজ্যের সমস্ত ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। আজ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে মাত্র কয়েকঘন্টার প্রস্তুতিতে ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খানের নেতৃত্বে সেই মিছিল জনজোয়ারে পরিণত হয়। হালারা বিপত্তারিনী তলা থেকে এই মিছিল শুরু হয়ে জামালপুর বাজার হয়ে জামালপুর ব্রিজের কাছে শেষ হয় এবং সেখানেই একটি পথসভা করা হয়। আজকের এই মিছিলে পা মেলান সাংসদ ডাঃ শর্মিলা সরকার, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামা প্রসন্ন লোহার, বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, সহ সভাপতি ভূতনাথ মালিক, জেলা পরিষদের দুই সদস্যা কল্পনা সাঁতরা ও শোভা দে সহ সমস্ত শাখা সংগঠনের সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, প্রধান, উপ প্রধান সহ মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। মিছিল থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করা হয়। সভাধিপতি শ্যামা প্রসন্ন লোহার বলেন অমিত শাহ শুধু মাত্র বাবা সাহেব আম্বেদকরকেই নয় সমগ্র দলিত সম্প্রদায়কেই অপমান করেছেন। সাংসদ শর্মিলা সরকার বলেন মাত্র কয়েকঘন্টার প্রস্তুতিতে এই জনজোয়ার প্রমাণ করে মানুষ কার সঙ্গে আছে। তিনি আরো বলেন মোদীজী আর অমিত শাহজী ওনারা ক্ষমা চাইতে জানেন না। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সেটা জানে ভুল করলে সেটা স্বীকার করে ক্ষমা চায়। বিধায়ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই কথার তীব্র বিরোধিতা করেন। তৃণমূলের কর্মসূচির সাথে বিজেপির ও একটি কর্মসূচি ছিল সদস্য সংগ্রহ অভিযান। যা জামালপুরের পাঁচড়ায় একটি লজে হয়। সেই কর্মসূচিতে আজ যোগ দেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে বিশৃঙ্খলা দেখে সভা ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনায় ব্লক সভাপতি বলেন এটা বিজেপির সংস্কৃতি। সামান্য দু-তিনশো লোক তাতেই বিশৃঙ্খলা। জামালপুর শুধুই মমতাময়। আজকের এই মহামিছিলে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার কর্মী সমর্থক পা মেলান যা আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে স্বস্তিতে রাখবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।