জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,
আধ্যাত্মিক ভাবনায় বিশ্বাসী ভারতের মুনি-ঋষিরা সেই প্রাচীন যুগ থেকেই নীরোগ শরীর গড়ে তোলার দিকে নজর দেন। শুরু হয় যোগ চর্চা বা যোগ ব্যায়াম। তাঁরা বিশ্বাস করতেন যোগার মাধ্যমে বহু রোগ নিরাময় যেমন সম্ভব হয় তেমনি মনসংযোগ বৃদ্ধি পায় এবং এটা প্রমাণিত।
আধুনিক যুগে ওবেসিটি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল সহ নানা রোগে আক্রান্ত মানুষ যোগার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখতে সচেষ্ট হয়। যোগার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে প্রতি বছর ২১ শে জুন পালিত হয় বিশ্ব যোগাদিবস।
বিশ্ব যোগাদিবসে নিজের বাড়িতে মা মুনমুন ভৌমিকের তত্ত্বাবধানে পুরোপুরি ঘরোয়াভাবে যোগা প্রদর্শন করল বালির রাধাকান্ত ব্যানার্জ্জী লেনের চার বছরের শিশু কন্যা অমন্যা ভৌমিক।
পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে- মুনমুন দেবী পরিচালিত হাওড়ার বালিতে ‘বালি রিম্পা যোগা মন্দির’ নামে একটি যোগ শিক্ষা কেন্দ্র আছে। বহু শিক্ষার্থী সেখানে যোগা শেখে। মা-বাবার একমাত্র কন্যা অমন্যা মায়ের সঙ্গে সেখানে নিয়মিত যায় এবং অন্যদের অনুসরণ করে আপন খেয়ালে যোগা অভ্যাস করত। পরে সে মায়ের কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে সে যোগা শিখতে শুরু করে।
অমন্যার বাবা অনল ভৌমিক বললেন – তাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকটি যোগা শিক্ষা কেন্দ্র আছে। বিশ্ব যোগা দিবসে সমস্ত শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়। কিন্তু করোনা বিধিনিষেধে এবার সেটা সম্ভব হয়নি। অনেকেই নিজ নিজ বাড়িতে নিজের মত করে দিনটি পালন করেছে। আমার শিশু কন্যাও বাদ যায়নি। তিনি আরও বললেন – সারাদিনে অল্প সময়ের জন্য যোগা অনুশীলন করলে আমরা বহু রোগের হাত থেকে বাঁচতে পারব।