বাসি খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ মহিলা, শিশু সহ শতাধিক মানুষ কাঁকরতলা থানার বড়রা গ্রামে

Spread the love

বাসি খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ মহিলা, শিশু সহ শতাধিক মানুষ কাঁকরতলা থানার বড়রা গ্রামে

সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- খয়রাশোল ব্লকের কাঁকড়তলা থানার অন্তর্গত বড়রা রেললাইন সংলগ্ন বাগ্দীপাড়ায় বাসি খিচুড়ি খেয়ে মহিলা শিশু সহ শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৫ জন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাত্রে একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে গ্রামে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়েছিল। সকলের খাওয়ার পরেও অবশিষ্ট থেকে গিয়েছিল কিছুটা খিচুড়ি। গ্রামবাসীদের দাবি, পরের দিন সকালে সেই খিচুড়িই খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন শিশু মহিলা সহ শতাধিক মানুষজন। সকলের মধ্যে বমি,পাতলা পায়খানা,পেটব্যাথার উপসর্গ দেখা দেয়। তড়িঘড়ি সাতটি চার চাকা গাড়ি করে গুরতর অসুস্থদের নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।বাকীদেরকেও স্থানীয় মন্দির চত্ত্বরে এনে রাখা হয় অস্থায়ী মেডিকেল শিবির হিসেবে।ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র হাসপাতালে ভর্তিরত অসুস্থদের চিকিৎসা করার সাথে সাথে মেডিকেল দল নিয়ে বড়রা শিবিরের মধ্যে হাজির হন নাকড়াকোন্দা বিএম ও এইচ ডাক্তার সব্যসাচী রায় সহ অন্যান্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীগন।সেখানেই চিকিৎসা শুরু করেন এবং প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র দেওয়া হয়। অসুস্থদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩৫ জনকে নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ডেপুটি সিএম ও এইচ-১ ও সিএম ও এইচ-২ ,ডিপিএইচ এন সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীগণ নাকড়াকোন্দা হাসপাতালে আসেন এবং অসুস্থ ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলেন। সেইসাথে উপস্থিত ছিলেন খয়রাসোল যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, লোকপুর থানার ওসি, খয়রাসোল ব্লক তৃনমূল কংগ্রেস কোর কমিটির সদস্য কাঞ্চন দে প্রমুখ। জানা যায় যে, জেলার মেডিকেল টিমটি নাকড়াকোন্দা হাসপাতাল থেকে বড়রা শিবিরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। জানা যায় সেখানেও কাঁকরতলা থানার পুলিশ সহ তৃনমূল কংগ্রেস ব্লক নেতৃত্ব সেখ জয়নাল, কেনিজ রাশেদ সহ অন্যরা সকলেই মিলে শিবিরের তদারকি করতে থাকেন এবং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সহ ব্লক ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সাথে নিয়মিত সংযোগ স্থাপন করেন। রাতের দিকে ঝুঁকি না নেওয়ার জন্য খিচুড়ি খাওয়া সমস্ত ব্যাক্তিকে চিকিৎসা করানো হবে শিবিরে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. হিমাদ্রি আড়ি জানান জেলা থেকে মেডিকেল টিম পৌঁছে গেছেন। ঔষধপত্র দেওয়া হয়েছে। অসুবিধা হলে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। তাছাড়া জেলা সদর হাসপাতালে ও সমস্তরকম ব্যাবস্থা রয়েছে। সবসময় নজরদারি করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বীরভূমের রাজনগরে গত বছর লক্ষ্মী পূজার খিচুড়ি প্রসাদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন ২০/২২ জন।
ফের জেলায় খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *