বাসের স্টাফ পরিচয়ে ফুটিসাঁকো বর্ধমান রুটে স্টেটবাসে অসাধু কারবার
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
রেলওয়ে প্লাটফর্ম কিংবা বাসস্ট্যান্ড সর্বত্রই সরকারের পক্ষে চলে ‘বিনা টিকিটে যাত্রীদের জেল / জরিমানা’র প্রচার। ঠিক এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গের সাথে উত্তরবঙ্গের শর্টকাট সড়করুট হচ্ছে ৭ নং রাজ্য সড়ক। যেটি বর্ধমান শহর থেকে ফুটিসাঁকো হয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে যাচ্ছে। মূলত ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে সাঁতরাগাছি – ডানকুনি হয়ে বর্ধমান শহর ছুঁয়ে নুতনহাটের লোচনদাস সেতুর উপর দিয়ে ফুটিসাঁকো যাচ্ছে দক্ষীনবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের স্টেটবাস গুলি। বর্তমানে করোনা বিধি বজায় রেখে সিট ভিক্তিক যাত্রী পরিবহনের কথা। তবে বাস্তবিক অর্থে সেটির বালাই নেই বললেই চলে। সবথেকে গুরতর অভিযোগ – ‘ ফুটিসাঁকো থেকে ভায়া নুতনহাট ( মঙ্গলকোট) বর্ধমান হয়ে যেসব স্টেটবাস গুলি কলকাতা যাচ্ছে। সেগুলিতে একশ্রেণির অসাধু বাস চালক ও বাস কন্টাক্টরের যৌথ অশুভ আঁতাতে চলছে বিনা টিকিটের যাত্রীদের দৌরাত্ম। এই সড়কপথে টিকিট চেকিং বলতে ডানকুনি টোলপ্লাজার কাছে কখনও সখনও হয়। যারফলে বর্ধমান শহর থেকে ফুটিসাঁকো প্রায় ৭০ কিমি পথে কোন টিকিট চেকিং চলেনা। কবে হয়েছে তাও জানেনা নিত্যযাত্রীদের বড় অংশ। সৌভাগ্যক্রমে বর্ধমান শহরের আশেপাশে টিকিট চেকিং করতে উঠলে ব্যবসাদারদের ‘বাসের স্টাফ’ পরিচয় করিয়ে দেন ওই বাসেরই চালক – কন্টাক্টর। এই সড়কপথে প্রতিদিন গড়ে ৫০ এর বেশি স্টেটবাস যাতায়াত করে থাকে। শুধু বিনা টিকিটে যাত্রীদের দৌরাত্ম নয়, সাথে বাসের ডিকিতে ‘বকশিস’ দিয়ে চলে পণ্য পরিবহন। কোন কোন ‘প্রভাবশালী’ বাস কন্টাক্টর টিকিট চেকিং এর ত্রিশ মিনিট আগে থেকেই খবর পেয়ে যান। আর তাতেই তড়িঘড়ি বিনা টিকিটে যাত্রীদের টিকিট কাটতে তৎপরতা শুরু হয়ে যায়! এই ধরনের অভিযোগ নিত্য বাসযাত্রীদের বড় অংশের। প্রতিবাদ করলে সেই বাস যাত্রীর নিদিষ্ট স্টপেজে বাসে উঠা – নামা করতে কালঘাম ছুটে যায়। উত্তরবঙ্গ পরিবহন দপ্তরের এক এসি স্টেটবাস ( ডাবলু বি ০৭, জে ৩৬৪০) প্রতিদিন সকালের দিকে মঙ্গলকোটের নুতনহাটের উপর দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। এই বাসটিতে বিনা টিকিটে যাত্রীদের দৌরাত্মটা বড্ড বেশি বলে অভিযোগ। জানা গেছে, এইবিধ টিকিটহীন যাত্রীরা রোজ বর্ধমান শহর ঢুকবার আগে নেমে যায়।প্রতিদিন যে টিকিট বিক্রিতে আর্থিক ক্ষতি ঘটে, তার দায় কে নেবে? বিষয়টি সচিত্রভাবে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয় হোয়াটসঅ্যাপে কে জানিয়েছেন এই প্রতিবেদক। অভিযুক্ত বাস চালক – কন্টাক্টদের পক্ষে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।