বিকাশ সেন
করোনার আবহে নাগরিক পরিষেবায় দুর্গাপুর নগর নিগমের তেত্রিশ হাজার আবাসিক জলের সংযোগকারীদের এই বিশেষ ছাড়ের কথা ঘোষনা করলো দুর্গাপুর পুরসভা। দুর্গাপুর নগর নিগমের জল দফতরের মেয়র পারিষদ সদস্য এক একান্ত সাক্ষাৎকরে জানান, লক ডাউন এর জেরে তিন মাস পুরসভার সমস্ত রকম কর নেওয়া বন্ধ রেখেছিল। খোলার পর পুরনাগরিকরা দীর্ঘ লাইন এ দাঁড়িয়ে জল কর দিচ্ছেন। ব্যাক্তিগত স্তরে খোঁজ নিয়ে জানলাম বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন, অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করেছেন ফের ব্যবসা শুরু করার পর আয় কমেছে তাঁদের। তাই পুরসভার মেয়র এর কাছে আবেদন জানালাম পুর নাগরিকদের সারা বছরের জল কর প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া যায় কিনা। শেষ বোর্ড মিটিংএ মহা নাগরিক দিলীপ অগস্তি নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়ে এককালীন সারা বছরের জল কর প্রদান এর ক্ষেত্রে এক মাসের জল কর সম্পূর্ণ মকুব করেন। সঙ্গে এক কালীন সারাবছরের জল কর প্রদানের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী রিবেট ছাড়ের সিদ্ধান্ত আগের মতোই বলবৎ থাকবে। দুর্গাপুর নগর নিগমের জল দফতরের মেয়র পরিষদ সদস্য পবিত্র চ্যাটার্জী জানান এই ছাড়ের জন্য করোনার সংকট জনিত আবহে নাগরিকরা করের বোঝা অল্প হলেও লাঘব হবে।
জল দফতরের কাজের ভুয়সি প্রসংসা করেন দুর্গাপুরের মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি l তিনি জানান বহরে বাড়তে থাকা শিল্প শহরে নতুন জলের সংযোগ, কুয়ো খনন স্ট্রিট ট্যাপ, 20 টি নতুন জলছত্র ও স্বল্প মূল্যর 16 টি নতুন ওয়াটার এটিএম পরিষেবা চালু করে জল দফতর উন্নত আধুনিক নাগরিক পরিষেবা দিচ্ছে।
জল দফতরের মেয়র পরিষদ সদস্য পবিত্র চ্যাটার্জী জানান যারা সারা বছরের জল কর অসুবিধার কারনে এককালিন দিতে পারবেন না তারা ছ মাসের টাকা একসঙ্গে জমা করলে পনের দিনের টাকা মকুব পাবেন। উল্লেখ্য রাজ্যের পুর মন্ত্রক এর অধীন যতগুলি পুরসভা রয়েছে তার মধ্যে দুর্গাপুর একমাত্র পুরসভা যা নাগরিকদের ছাড় লাঘব এর ক্ষেত্রে এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।