বিক্ষোভকারীদের উপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠিচার্জ, রক্তাক্ত মাইথন
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
দেশে শিক্ষিত বা অশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জীবন ধারনের জন্য একদল বিভিন্ন উপায়ে সততার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সেটাও সহ্য হচ্ছেনা অনেকের। কখনো কখনো তাদের উপর নেমে আসছে নির্মম আঘাত। প্লাটফর্ম বা ট্রেনের হকাররা প্রায়শই আরপিএফের অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। এটাও ঠিক মাঝে মাঝে এক শ্রেণির হকার বা দোকানদার যাত্রীদের অসুবিধার সৃষ্টি করে। যাইহোক এবার মাইথনে গরীব দোকানদারদের উপর নেমে এল সিআইএসএফ -এর লাঠির আঘাত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে ডিভিসির মাইথন প্রশাসনিক ভবনের সামনে দীর্ঘদিন ধরে একদল গরীব মানুষ দোকান করে কোনোরকমে সংসার প্রতিপালন করছে।এখন সেই দোকান ভাঙতে চাইছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। সমস্যার সমাধানের জন্য তারা কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করলেও কর্তৃপক্ষ উদাসীন থেকে যায়। একপ্রকার বাধ্য হয়ে দোকানদাররা নিরসা বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ চ্যাটার্জ্জীর উপস্থিতিতে ২৫ শে জানুয়ারি প্রশাসনিক ভবনের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করে। শুরুতেই সিআইএসএফ বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের বচসা বাধে। তাদের দাবি কোনো প্ররোচনা ছাড়াই সিআইএসএফ তাদের উপর লাঠিচার্জ করে। ফলে ৬ জনের বেশি বিক্ষোভকারী আহত হয়। অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু গাড়িও ভাঙচুর হয়। এমনকি সিআইএসএফকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এতে কয়েকজন জওয়ান আহত হয়। আহতদের প্রত্যেককে চিকিৎসার জন্য ডিভিসির বি পি নিয়োগি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অরূপ বাবু বলেন- দীর্ঘদিন ধরে এইসব গরীব মানুষগুলো এখানে দোকান করে আসছে। এখন তাদের উচ্ছেদ করে দিলে ওরা যাবে কোথায়, খাবেই বা কী? সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা ডিভিসি কর্তৃপক্ষের কাছে গত একমাস ধরে আবেদন করে চলেছি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হলে আমাদের উপর অমানবিক ভাবে লাঠি চার্জ করা হয়। অন্যদিকে সিসিআইএসএফ এর পক্ষ থেকে বিনয় কাজিলা জানান- কোনোরকম প্ররোচনা ছাড়াই বিক্ষোভকারীরা আমাদের জওয়ানদেল উপর পাথর ছুড়তে শুরু করলে তারা লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়।
