বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলে অপমানিত হয়ে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান, কাষ্টগড়া পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান সহ সদস্যার
সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম:- প্রখর রৌদ্র মাথায় নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর লক্ষ্যে মরিয়া ঠিক তখনই গোষ্ঠী কোন্দলে অপমানিত হয়ে বিজেপি পরিচালিত কাষ্টগড়া পঞ্চায়েতের প্রধান সহ এক সদস্যার তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান।যাহা এলাকায় সংগঠনের ভীত আরও নড়বড়ে হয়ে উঠবে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের ধারণা।ঘটনাটি রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের কাষ্টগড়া পঞ্চায়েতের। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূম জেলার বুকে বিজেপি যে কয়টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তারমধ্যে কাষ্টগড়া পঞ্চায়েত ছিল একটি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গঠন করা পঞ্চায়েত বোর্ডের প্রধান সহ এক সদস্যার অন্য দলে যোগদানের ফলে ভোট অঙ্কে ফের কাটাকাটির হিসেবে গরমিল দেখা দিতে পারে বলে অনেকের অভিমত।
প্রখর রৌদ্রের দাবদাহের মধ্যেও দলীয় কর্মী সমর্থকরা বাড়ি বাড়ি এলাকায় প্রচার সারছেন। দলীয় কর্মীদের নিয়ে ফাঁকফোকর মেটাতে বৈঠকে বসা থেকে ভোটের রণকৌশল নির্ধারণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।তারই মধ্যে কোথাও কোথাও কখনো কখনো কোনো কোনো নেতা-নেত্রীকে পড়তে হচ্ছে ক্ষোভের মুখে। বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে মানুষকে আস্বাস দিয়ে ভোট ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। ঠিক সেই মুহূর্তেই দেখা গেল বিজেপির অন্দরে ক্ষোভের বহিপ্রকাশ হিসেবে দলে ভাঙ্গন। বীরভূমের রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের কাষ্ঠগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি পরিচালিত প্রধান তথা বিজেপির ব্লক সভানেত্রী পিঙ্কি মন্ডল ও সেই সাথে পঞ্চায়েত সদস্যা তথা বিজেপির জেলা মহিলা মোর্চার সম্পাদিকা সুখী মুরমু হেমরম দুজনেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। মঙ্গলবার রামপুরহাট তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে তাদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার ড. আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট এক নম্বর ব্লক সভাপতি নিহার মুখোপাধ্যায়, সহ-সভাপতি সৈয়দ মইনুদ্দিন হোসেন, ব্লকের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম সহ কাষ্ঠগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমূল কংগ্রেসের সদস্যবৃন্দ। সদ্য বিজেপি ছেড়ে আসা কাষ্টগড়া পঞ্চায়েতের
প্রধান পিংকি মন্ডল জানান আমি বিজেপির প্রধান ছিলাম কিন্তু বিজেপি নেতা-নেতৃত্বরা আমাকে ঠিকভাবে পরিচালনা করতে দেয়নি পঞ্চায়েত। তারা প্রতিটি বিষয়ে কাট মানির কথা বলে, আমি না দিতে চাইলে আমাকে হেনস্থা করে এমনকি আমার স্বামীকেও মারধর করে।এবিষয়ে উর্ধ্বতন দলীয় নেতৃত্বের কাছে জানালেও কোনো সমাধান হয়নি।আমি জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে চাই, তার জন্যই আমি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলাম।উল্লেখ্য ইতিপূর্বে কাষ্টগড়া পঞ্চায়েতের মধ্যে টেন্ডার ডাকা নিয়ে দলীয় কর্মীদের হাতে হেনস্থার অভিযোগ তুলে ছিলেন প্রধান। সদ্য দিন কয়েক আগেও পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে সোলার লাইট বসানো ঘিরে দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। সেক্ষেত্রেও প্রধানের স্বামী দলীয় কর্মীদের কাছে মার খেয়েছেন বলে রামপুরহাট থানায় চারজন দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে পুলিশ একজনকে আটক করে বলে খবর।