বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সারদাপ্রসাদ সিংহরায়ের জন্মদিবস পালন
সেখ সামসুদ্দিন, ২৬ আগস্টঃ জামালপুরের চকদিঘীর শতাব্দী প্রাচীন বিদ্যালয় চকদিঘী সারদা প্রসাদ ইনস্টিটিউশন এর প্রতিষ্ঠাতা সারদাপ্রসাদ সিংহরায়ের জন্মদিবস পালন করা হয় আজ। ব্লকের অন্যতম প্রাচীন একটি স্কুল এটি। প্রসঙ্গত সারদা প্রসাদ সিংহরায় ছিলেন এলাকার জমিদার। পন্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের সাথে তাঁর ছিল ঘনিষ্ট সম্পর্ক। তাঁরই অনুপ্রেরণায় সারদা প্রসাদ বাবু ১৮৫৭ সালে চকদিঘীতে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। আজ জন্মাষ্টমীর শুভ দিন সারদা প্রসাদ বাবুর জন্মদিন। এই উপলক্ষ্যে বিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মেহমুদ খান, ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য শোভা দে, বিশিষ্ট সমাজসেবী আজাদ রহমান, বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি রমেশ দত্ত, বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের সংগঠনের সভাপতি সাহেব আলী, প্রাক্তনীদের পক্ষ থেকে ইন্ডিয়ান ওয়েলের অফিসার জয়দেব মান্না, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক, শিক্ষিকা, প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী, বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীরা, বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সহ বিশিষ্ট জনেরা। প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, মেহেমুদ খান সহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। পরে অতিথিরা সারদা প্রসাদ সিংহরায় ও বিদ্যাসাগরের ছবিতে মাল্যদান করেন।বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাজেশ্বর দে। বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান, নাচ, আবৃত্তি সহ অন্যান্য অনুষ্ঠান করে। সকলের জন্য দুপুরে খিচুড়ি, আলুর দম, চাটনি, পাঁপড় ও পায়েস খাবার ব্যবস্থা ছিল। সকলের সাথে বসে সেখানে মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন বিধায়ক। মেহেমুদ খান বলেন গ্রাম বাংলার বুকে এত প্রাচীন একটি স্কুল এবং যিনি এটির প্রতিষ্ঠাতা তিনিও একজন মহান গুনী মানুষ ছিলেন। তিনি শিক্ষক শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে বলেন এই মহান স্কুলকে সঠিক ভাবে তাঁদেরকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি সকলকে একজোট হয়ে কাজ করার কথা বলেন। আলোকবাবু বলেন এই স্কুলে কাজ করা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। তিনি বলেন সরকার সবরকম ভাবে স্কুলগুলিকে সাহায্য করছেন। শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি অভিভাবকদের উদ্যেশ্যে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার দিকে খেয়াল রাখার কথা বলেন। জয়দেব মান্না তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইন্ডিয়ান ওয়েল কোম্পানি থেকে বিদ্যালয়ের ছেলেদের খাওয়ার জন্য ডাইনিং রুম, ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য অত্যাধুনিক টয়লেট ও জলের জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মেহেমুদ খান ও অলোক মাজি দুজনেই প্রক্তনীদের এই প্রয়াসের প্রশংসা করেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাজেশ্বর দে বলেন প্রতি বছরের মতো এবছরও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সারদা প্রসাদ সিংহরায়ের জন্মদিন পালন করা হয়। এমন একজন গুনী, কৃতি মানুষের প্রতিষ্ঠা করা স্কুলের গৌরব তাঁরা বজায় রাখবেন বলে জানান। আজকের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিপ্লব বিশ্বাস।