বিধাননগরে বেআইনী পার্কিং নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করলো হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
বৃহস্পতিবার বেআইনী পার্কিং নিয়ে কড়া বার্তা দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিধাননগর পুরসভা কে পার্কিং জায়গা গুলি হোডিং দিয়ে চিহ্নিতকরণ করতে বললো আদলত। এর পাশাপাশি পার্কিং ফি আদায়কারীদের সুনির্দিষ্ট পোশাক এবং পরিচয়পত্র রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেইসাথে পুরো বিষয়টি নজরদারি চালাবেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনার। মামলাকারীর আইনজীবী চন্দ্রশেখর বাগ বলেন -‘ বিধাননগরে বেআইনি পার্কিং চলছে। যারা পার্কিং-এর টাকা নিচ্ছেন তাদের পরিচয়পত্র থাকতে হবে’। এই মামলায় মন্তব্য করতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, “কোনও নির্দেশই সাহায্য করতে পারে না, যদি কিছু করার ইচ্ছে না থাকে।”শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার এই মামলায় পুরনো বাস চালানো নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “যে বাসগুলি ফেলে দেওয়া উচিত সেগুলো আপনারা চালাচ্ছেন। আর সেটা শুধু ওই ড্রাইভার বা কনডাক্টর নয় যাত্রীদের জন্যে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। কোথায় পরিবর্তন হচ্ছে? নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন করুন। বাসের ভাড়া কবে রিভাইস করেছেন? বছর কুড়ি আগে? বাস মালিকরা খরচ বাঁচাতে কেরোসিন বা বাজে তেল ব্যবহার করেন। কবে পরিবর্তন হবে?” প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।এদিন, প্রধান বিচারপতি তাঁর নির্দেশে উল্লেখ করেন ,”পার্কিং-এর সমস্যা একটা জায়গার নয় এ রাজ্যের সব শহরে একই অবস্থা। পুরসভার কোনও সদিচ্ছা না থাকলে এটা সমাধান করা সম্ভব নয়। ফ্রি পার্কি জায়গা আর নো পার্কিং এগুলো নোটিফাই করা প্রয়োজন। তবে বিজ্ঞপ্তির কোনও গুরুত্ব নেই যদি পুরসভা নিজেই সেটা না মানে।”প্রধান বিচারপতি এও বলেন, “সাধারণ মানুষের ভোগান্তি না বাড়িয়ে না করে এগুলো করুন।” বিধাননগর পুরসভা কে নির্দেশ, “বেআইনি পার্কিং নিয়ে দ্রুত টেন্ডারের কাজ শেষ করবেন। হোর্ডিং ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য ওয়েবসাইটে দিতে হবে।” এরপর রাজ্য জানায়,”টেন্ডার ডাকা হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ থাকলে সেটা জানাতে পারেন।” প্রধান বিচারপতি জানান ,”আপনারা কাজ করুন। আপনার চেয়ারম্যান নির্বাচিত তিনি সব সুবিধা পাবেন আর জনগণ আসবেন আদালতে?”