বিধান শিশু উদ্যানে ডা. বিধান চন্দ্র রায়ের ১৪২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

Spread the love

বিধান শিশু উদ্যানে ডা. বিধান চন্দ্র রায়ের ১৪২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি ,

পশ্চিমবঙ্গের রূপকার প্রণম্য চিকিৎসক ডা. বিধান চন্দ্র রায়ের ১৪২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হল বিধান শিশু উদ্যানে। এই উপলক্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন ক্রীড়া প্রদর্শনী, বৃক্ষরোপণ ও শিক্ষামূলক কর্মশালা পালিত হয়। এদিনকার শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি ড. পার্থ কর্মকার, সাহিত্যিক চঞ্চল কুমার ঘোষ, সাহিত্যিক মন্দার মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডা. বি. সি. রায় মেমোরিয়াল কমিটির সভাপতি ড. অমল কুমার মল্লিক। বিধান শিশু উদ্যানের সভ্য-সভ্যাদের বাৎসরিক সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয় এই শুভদিনে। প্রত্যেককে শংসাপত্র প্রদান করা হয়। উপস্থিত বক্তারা ডা. রায়ের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। স্বাধীনতার পর বিপুল সংখ্যক আগত উদ্বাস্তু প্রবেশ করার ফলে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পড়েছিল কিন্তু ডা. রায় অপরিসীম দক্ষতায় সে অর্থনীতিকে সঠিক দিশা নির্দেশ করেছিলেন এবং পশ্চিমবঙ্গকে দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা রাজ্যে পরিণত করেছিলেন।বিধান শিশু উদ্যানের প্রতিষ্ঠাতা অতুল্য ঘোষ মহাশয়কে উদ্ধৃত করে গৌতম তালুকদার বলেন—এটা কি জানা আছে যে ছেলেবেলায় তিনি মাথায় ছোটো ছিলেন, তারপর স্কিপ করে করে অত লম্বা হলেন।
একসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারি পড়বার দরখাস্ত করেছিলেন। আগে ডাক্তারি পড়বার অনুমতিপত্র এল তারপর ইঞ্জিনিয়ারিং। তাই তিনি ডাক্তার হয়ে গেলেন। আর উনি তখন লেখাপড়া শিখেছিলেন, অনেক কষ্ট করে। বিলেতে ডাক্তারি পড়বার সময় সেখানে পুরুষ নার্সের কাজ করে খরচ চালাতেন। অল্প সময়ের মধ্যে দুটো সর্বোচ্চ ডাক্তারি পরীক্ষায় পাস করেন যা বিলেতে বা ভারতবর্ষে খুব কম লোকই করেছেন। এখনকার ছেলেমেয়েরা তোমরা ওঁর কোন দিকটা নেবে?স্বাধীনতা পাবার পর প্রায় চোদ্দো বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আবার পরাধীন ভারতবর্ষের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও ছিলেন। কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়রও হয়েছিলেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য জেলেও গিয়েছিলেন। একজন মানুষ যিনি জেল খেটেছিলেন, মেয়র হয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন আর চিকিৎসক হিসেবে যাঁর ভারতজোড়া খ্যাতি ছিল, তাঁর স্মৃতিরক্ষার জন্য তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত এই বিধান শিশু উদ্যান।
বিধান শিশু উদ্যানের সহ সম্পাদক সঞ্জীব দত্ত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *