বিশেষ দিনে বিশেষ কাজ করলেন নতুন সমাজকর্মী দম্পতি।

Spread the love

বিশেষ দিনে বিশেষ কাজ করলেন নতুন সমাজকর্মী দম্পতি।

সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
নেই বসতবাড়ি, নেই পরিবার পরিজন, একাকী নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত। হয়তো দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা হলেও সামাজিকভাবে উৎসব আনন্দ থেকে বহু যোজন দূরে সরে যায়। সেইরূপ মানুষদেরর মধ্যে আনন্দ ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এক অভিনব উদ্যোগ নিলেন সিউড়ির বাসিন্দা এক সমাজকর্মী দম্পতি।
সিউড়ি শহরের বাসিন্দা প্রিয়নীল পাল পেশায় একজন মনোবিদ এবং সুস্মিতা দত্ত পেশায় নার্সিং কর্মী।তারা তাদের বিবাহের পূর্বে আংটি বদলের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করলেন সিউড়ি শহরের বৃদ্ধা এবং অসহায়দের আবাসিক হিসেবে পরিচিত ‘সুনীতি চট্টরাজ অনিকেত আবাসিকের মধ্যে। বাড়িতে যেরকম আনন্দ বিনোদনের মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয় সেভাবেই আংটি বদলের অনুষ্ঠানটি করে এক নতুন আঙ্গিকে । ছিল আমন্ত্রণ পর্ব থেকে শুরু করে, আবাসিক সাজানো, খানাপিনা ইত্যাদি। এদিন আবাসিকে বসবাসকারী বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা নব দম্পতিকে আশীর্বাদ করেন। পাশাপাশি মনপ্রাণ খুলে সবাই আনন্দ উপভোগ করেন।
উদ্যোক্তাদের তরফে প্রিয়নীল পাল জানান, আমি নিজে একজন সমাজকর্মী বিগত ১২ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজকর্মে যুক্ত। বরাবর আমরা বিশেষ দিনে বিশেষ কাজ করতে সকলের কাছে অনুরোধ করি।অনেকেই তাদের বিশেষ দিনে খাওয়া-দাওয়া দিয়েও যান ঠিক কথা কিন্তু বাদ থেকে যায় আনন্দ করার সুযোগ। তাই শুধু খাওয়া দাওয়া না, সম্পূর্ণ পারিবারিক আনন্দ দেওয়ার জন্য আমাদের বিবাহ পূর্বের আংটি বদলের অনুষ্ঠানটি আবাসিকদের সঙ্গেই সপরিবারে উদযাপন করলাম।
আবাসনের কর্মী মনোজ জানান, অনেকেই অনুষ্ঠানের বেচে যাওয়া খাবার দিয়ে যান, অনেকেই কোন উপলক্ষে হিসেবেও খাবার প্যাকিং করে দিয়ে যান কিন্তু তবুও আবাসিকদের মনে একটা খারাপ লাগা থেকেই যায় কারণ তারা সেই পারিবারিক আনন্দের বা আয়োজনের অংশ হতে পারেন না। এমন অবস্থায় তাদেরকে নিয়েই একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করাটা সত্যি অভিনব, আবাসিকরা মন থেকে খুবই আনন্দিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *