- অবশেষে আয়াস অঞ্চলের নতুন অঞ্চল সভাপতির নাম ঘোষণা*
সেখ রিয়াজুদ্দিন,বীরভূম:- রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের আয়াস অঞ্চল সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্বে ছিলেন আকবর আলী।কিন্তু ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আকবর আলীকে দলবিরোধী কাজের জন্য অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয়। যার প্রেক্ষিতে আকবর আলী বিক্ষোভে ফেটে তথা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।এমনকি তার নিজের এলাকা বাতাসপুর গ্রামে একটি জনসভার মাধ্যমে স্থানীয় ও ব্লক তৃনমূল নেতৃত্বের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়।সেদিন তার সমর্থকদের নিয়ে আয়োজিত সভা থেকে আওয়াজ তোলা হয় যে,আয়াস অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি হিসেবে আকবর আলীকেই চাই।সেখানেই না থেমে উক্ত দাবিতে গ্রামবাসীরা
রামপুরহাট দলীয় কার্যালয়ে যান এবং সেখানে উপস্থিত স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার ডক্টর আসিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দাবি পত্র পেশ করেন। এবিষয়ে আসিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন বিষয়টি দলের সিদ্ধান্ত, তাদের দাবি পুনর্বিবেচনার জন্য দলের উদ্বর্তন নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।সেই থেকে আজ সোমবার দু মাস পর রামপুরহাট এক নম্বর ব্লক তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি আনুষ্ঠানিকভাবে আয়াস অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি হিসেবে নতুন নাম ঘোষণা করলেন মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের। উল্লেখ্য আজিজুল ইসলাম এবারে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদে তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন করেছিলেন কিন্তু রাজ্য থেকে দলীয় ভাবে তার নাম না আসার জন্য তাকে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করানো হয়।এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এরকম অনেকেই ছিলেন যারা আগে থেকে নমিনেশন করেন কিন্তু জেলা ও রাজ্য থেকে তাদের নাম না আসায় তারা নির্দল হিসেবে আসরে থেকে যান এবং হেরেও গেছেন। সেক্ষেত্রে মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম দলের নির্দেশানুযায়ী নমিনেশন প্রত্যাহার করেন এবং জেলা ও রাজ্যের ঘোষিত প্রার্থীকেই জয়ীর জন্য দলের হয়ে কাজ করেন। তারই ফলস্বরূপ দল আজকে তাকে আয়াস অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন বলে স্থানীয় ও রাজনৈতিক মহলের অভিমত।
অন্যদিকে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি আকবর আলী হুঁসিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন আয়াশ অঞ্চলে অন্য কোন অঞ্চল সভাপতি নির্বাচিত হলে পঞ্চায়েত ভেঙে যাবে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত আর তৃণমূলের দখলে থাকবে না। প্রত্যুত্তরে সৈয়দ সিরাজ জিমি জানান যারা দলকে ভালোবাসে তারা কখনোই দল ছেড়ে যাবে না। মা মাটি মানুষের আদর্শ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি ও আদর্শকে সঙ্গে নিয়ে দলের সঙ্গেই থাকবে।