খায়রুল আনাম (সম্পাদক সাপ্তাহিক বীরভূমের কথা )
তীব্র রক্ত সঙ্কটে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক
করোনা আবহে অন্যান্য জায়গার সাথে জেলা বীরভূমেও দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির হচ্ছে না বললেই চলে। স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে সংগৃহীত রক্তেই মূলতঃ জেলার সরকারি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি সজীব থাকে। জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক রক্ত শূন্যতায় ভুগতে শুরু করায়, রক্তের প্রয়োজন পড়া রোগী, তাঁদের আত্মীয়-পরিজন এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত যে সব রোগীদের নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় অন্তর রক্ত নিতে হয়, তাঁরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দশজন রক্তদানে এগিয়ে এসে রক্তদানের মাধ্যমে মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। কিন্তু এরপর কী হবে, তা নিয়েই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে কিছু রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে রক্ত সংগ্রহ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে বীরভূম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ জেলা এবং প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবার জন্য আসেন। যাঁদের অনেকেরই রক্তের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় সড়ক দুর্ঘটনার কারণে একই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন পড়ে। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে বর্তমানে এ পজিটিভ রক্ত ২ ইউনিট, বি পজিটিভ রক্ত ১ ইউনিট ও বি নেগেটিভ রক্ত ১ ইউনিট ছাড়া আর কোনও রক্ত নেই। চিকিৎসকেরাও বলছেন, ভ্যাকসিন এলেও, মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণ আতঙ্ক এখনও কাটেনি। যারফলে স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির হচ্ছে না বললেই চলে। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রথামাফিক যদি স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের আয়োজন না হয়, তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা ।।