বীরভূমে এবার সাঁইথিয়া পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে ইডির হানা, মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা র পিসি মায়া সাহা

Spread the love

বীরভূমে এবার সাঁইথিয়া পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে ইডির হানা, মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা র পিসি মায়া সাহা

সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
২০২৬ এ বিধানসভা নির্বাচন। সমস্ত রাজনৈতিক দল তার আগেই ঘর গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। দলবদল থেকে বিধায়ক কেনাবেচার খেলা শুরু হয়ে যায়। মাঠে ময়দানে রাজনৈতিক লড়াইয়ের পাশাপাশি প্রশাসনিক ভাবে ও চলে কৌশলগত লড়াই। যাহা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ও রাজ্য পুলিশের নিয়ে তৃণমূল বনাম বিজেপি দলের পারস্পরিক মন্তব্য শোনা যায়। সেই প্রেক্ষিতে বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ায় সাতসকালে ইডি র হানা ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জানা যায় সাঁইথিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়র সামনে ইডির গাড়ি এসে দাঁড়াতেই এলাকায় কৌতুহল সৃষ্টি হয়। কাউন্সিলরের বাড়ির চতুর্দিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলে এবং ইডির আধিকারিকেরা কাউন্সিলর এর বাড়ির ভেতরে ঢুকে তল্লাসি অভিযান চালানো হয় । উল্লেখ্য একযোগে বীরভূম,কলকাতা, মুর্শিদাবাদ ও পুরুলিয়ার একাধিক জায়গাতেও ইডির অভিযান শুরু হয়। সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নতুন কিছু সূত্রের ভিত্তিতে এই অভিযান। বিশেষ উল্লেখ্য যে,
কাউন্সিলর মায়া সাহা হলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি। আত্মীয়তার জেরে এখানে সন্দেহের যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে এর আগেও শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতির মামলায় সিবিআই গ্রেপ্তার করেছিল। সেবার সিবিআই বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করতেই বিধায়ক পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে নিজের মোবাইল স্থানীয় পুকুরের জলে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে পুকুরের জল মেরে মোবাইল উদ্ধার করা হয়। যদিও পরে তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিনে মুক্ত হন। কিন্তু তাঁর একাধিক ঘনিষ্ঠের ওপর নজরদারি চালাতে থাকেন কেন্দ্রীয় সংস্থা।
এদিন শুধু বীরভূমেই নয়, মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞার আন্দি গ্রামে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি, রঘুনাথগঞ্জের পিয়ারাপুরে তাঁর শ্বশুরবাড়ি এবং মহিষ গ্রামের বাসিন্দা এক বেসরকারি ব্যাঙ্ককর্মী রাজেশ ঘোষের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। পুরুলিয়াতেও ইডির আরেকটি দল নামে অভিযানে এবং সেখানে নিয়োগ দুর্নীতির তথাকথিত ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি ঘিরে তল্লাশি চালানো হয়। গোটা রাজ্য জুড়ে সোমবার সকাল থেকে ইডির প্রায় এক ডজন দল একযোগে নামায় অভিযান, যার ফলে শিক্ষাক্ষেত্রের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এখন দেখার ভোটার আগে পর্যন্ত কোন দিকে রাজনৈতিক মোড় নেয় সিবিআই ইডির তল্লাশি অভিযান।
এনিয়ে রাজ্য কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক মিল্টন রসিদ মন্তব্য করেন তৃনমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর এর বাড়িতে ইডির হানা এটা নতুন কিছু নয়। পায়ের নখ থেকে মাথা পর্যন্ত সবাই দূর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তৃনমূল কংগ্রেসের সবাই এক একটা কৃষ্ণ। প্রত্যেকের বাড়িতে যদি ইডি হানা করা হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত মেম্বার, প্রধান, কাউন্সিলর থেকে শুরু করে বিধায়ক সাংসদ পর্যন্ত এরা যত আছে প্রত্যেকেই কিন্তু গ্রেফতার হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *