বীরভূমে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মেলায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন

Spread the love

খায়রুল আনাম, ২৯ মে,

 জানানো হলো স্বাস্থ্য ভবনকে   ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলায় বাড়ছে উদ্বেগ  
         
করোনা সংক্রমণের হার জেলা বীরভূমে কিছুটা কম হলেও, উদ্বেগ কাটছে না জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। আর এরই মাঝে জেলায় নতুন করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত এক রোগীর সন্ধান মেলায়, এখন ঘুম ছুটেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের।  জিন্নাতারা বিবি (৮৬) নামে ওই রোগীর বাড়ি জেলার পুর শহর রামপুরহাট পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে।   রাপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই রোগীর উপরে সর্বদাই কড়া নজর রাখা হচ্ছে। চিকিৎসক ও নার্স ছাড়া তাঁর কাছে অন্য কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই রোগীকে এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।        রামপুরহাট  পুর এলাকার  জিন্নাতারা বিবি নামে  ওই রোগী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে।  সেখানে তাঁর শরীরে বেশকিছু লক্ষণ দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ  তাঁকে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে   দিলে জিন্নাতারা বিবিকে নিয়ে যাওয়া হয় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে। সেখানেই নানা ধরনের পরীক্ষায় তাঁর শরীরে ব্লাক ফাঙ্গাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপরই বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের গোচরে আনা  হয়েছে। ওই রোগীর উপরে সর্বদাই নজর রাখা হচ্ছে। জেলায় এই ধরনের বিরল রোগের সন্ধান মেলায় স্বাভাবিকভাবেই  জেলা ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সমগ্র বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখতে শুরু করেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, নিজেরা একটু সাবধান হলেই রোগ প্রতিরোধ করা  অনেকখানিই সম্ভব।   পচা-গলা বস্তু যেখানে রয়েছে, সেইসব জায়গা থেকেই এই রোগের জীবাণু বায়ূ মণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ার পরে তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে। ভিজে এবং অপরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহার করলেও এই রোগ ছড়ায়। যে কোনও সাধারণ মানুষ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মুখ মণ্ডল সঠিকভাবে প্রত্যক্ষ ও পর্যবেক্ষণ করলেই  মুখের পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। এবং সেখানে   কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরী বলে জানানো হয়েছে। কেননা, এই ব্লাক ফাঙ্গাসে কেউ আক্রান্ত হওয়ার পরে তাঁর সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাণহানির আশঙ্কাও থেকে যায় বলে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন।।       

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *