বীরভূম জেলার বুকে জোড়া ফুল ছাড়া কিছু থাকবে না- সভাধিপতি কাজল সেখ
সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম:- ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস প্রচার পর্বের কাজ শুরু করে দেয় বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে। অনুরূপ শুক্রবার রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় তারাপীঠের তারাপুর মাঠে । বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার ডঃ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফাইজুল হক ওরফে কাজল শেখ, আই এন টি টি ইউ সি র জেলা সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য, হাঁসন বিধান সভা কেন্দ্রের বিধায়ক ডাক্তার অশোক চট্টোপাধ্যায়, রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের তৃনমূল সভাপতি সুকুমার মুখার্জি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও দলীয় কর্মীবৃন্দ। মঞ্চে উপস্থিত নেতৃত্বগন এদিন বিজয়া সম্মিলনীর সভা থেকেই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বিগত পঞ্চায়েত ভোটের ন্যায় দলীয় কর্মীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন। এদিনের সভায় রামপুরহাট দুই নম্বর ব্লকের সমস্ত অঞ্চল সভাপতি এবং ব্লক স্তরের নেতাদেরকে কড়া বার্তা দেন দলের মধ্যে থেকে কোনরকম দলবিরোধী কার্যকলাপ এবং বিবাদ বরদাস্ত করা যাবে না প্রয়োজনে জেলা নেতৃত্ব তথা কোর কমিটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন ১ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত দলীয় ভাবে বিজয়া সম্মিলনী কর্মসূচি পালন করা হবে।এই কর্মসূচির মাধ্যমে বুথ লেভেলের সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ হবে। যে লড়াইটা অভিষেক ব্যানার্জি শুরু করেছে তা সকলেই দেখেছেন। কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের কাজ করিয়ে টাকা দিচ্ছে না। আবার যে দূর্নীতির কথা বলা হচ্ছে তা প্রমান ও করতে পারছে না। গরীব মানুষকে ভাতে মারার চক্রান্ত বিজেপি সরকারের। যদিও বাংলার মানুষ বিজেপিকে বিশ্বাস করে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ১৬ তারিখ থেকে ফের কর্মসূচি শুরু হবে। যতদিন না ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছে ততদিন লড়াই চলবে। অন্যদিকে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ তার বক্তব্যে বলেন সবসময় আপনাদের পাশে আছি, যখন ডাকবেন তখনই পাবেন গ্রামে,বাজারে, অলিতে গলিতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়,তৃনমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা নিয়ে সেখানে হাজির হবো। কিন্তু বীরভূম জেলার বুকে জোড়া ফুল ছাড়া কিছু থাকবে না।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কিছু থাকবে না। জেলার যে দুটি লোকসভা আসন রয়েছে সেখানে তৃনমূল কংগ্রেসেরই দুজন সাংসদ নির্বাচিত হবেন এবং কমশে কম দু লক্ষের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে, সাংবাদিক বন্ধু ভাইরা মিলিয়ে নিবেন-কাজল শেখ যেটা বলে সেটা করে দেখায় বলে আগাম বার্তা দিয়ে দিলেন।