বীরভূম জেলা ভূমিহারা ইউনিয়নের অবস্থান বিক্ষোভ চাকরির দাবিতে
সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম
বীরভূম জেলার বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে গত কুড়ি বছর আগে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প রূপায়নে জমিদানকারীরা সরকারি প্রতিশ্রুতি মোতাবেক চাকরি পাননি বলে আন্দোলনের পথে নেমেছেন। বৃহস্পতিবার সদাইপুর থানা এলাকায় জমায়েত হয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড, ব্যানার সহযোগ পদযাত্রা করে পিডিসিএল এর গেস্ট হাউস সংলগ্ন এক নম্বর গেটের মুখে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়ে আন্দোলনকারীরা। উল্লেখ্য বীরভূম জেলা ভূমিহারা ইউনিয়নের ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরেই চাকরির দাবিতে তাদের আন্দোলন অব্যাহত। তাদের দাবি কুড়ি বছর আগে জমি নিলেও সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পরিবার প্রতি চাকরি তা আজও পাওয়া যায়নি। ২০১৫ সালে ল্যান্ড লুজার কার্ড করা হয়। তাতে চাকরি পাওয়ার কথা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শুধু টালবাহানা করছে। জমি জায়গা অধিগ্রহণ করে এখন ছুড়ে ফেলে দিতে চাইছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ডেউচা পাঁচামিতে জমি নেওয়া হয়েছে এবং তাদের চাকরি দেওয়া হলেও বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভূমিহারাদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে না বলে ভূমিহারাদের অভিযোগ। পদযাত্রা ও অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন থেকে আওয়াজ ওঠে ডিএম তুমি চাকরি দাও, নইলে জমি ফেরত দাও । ডেওচা পাচামিতে জমি দিলে চাকরি হবে, তাহলে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভূমিহারারা চাকরি পাবে না কেন। জমি হারাদের বঞ্চিত করে অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ মানছি না মানবো না ইত্যাদি স্লোগান ওঠে অবস্থান বিক্ষোভ থেকে। আরো দাবি করেন ডেওচা পাচামির লোকেদের চাকরি দিচ্ছেন আমাদেরও চাকরি দিন এবং পঞ্চায়েত ভোটের আগেই চাকরি দিন। এদিন দুবরাজপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি ভোলানাথ মিত্রর দিকেও আঙ্গুল তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। ভূমিহারা ইউনিয়নের নেত্রী চম্পা ঘোষ সরাসরি তৃণমূল ব্লক সভাপতির দিকে আঙুল তুলে বলেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করছেন অথচ জমিহারারা আজ কাজের সন্ধানে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।আজকে আমাদের দেখে গেট লাগিয়ে দিচ্ছেন কিন্তু যেদিন জমি নেওয়া হয়েছিল সেদিন তো গেট বন্ধ হয়নি। পাশাপাশি আন্দোলনরত বিপ্লব দাস বৈষ্ণবও অভিযোগ করেন, আমাদের চাকরি অন্যদের বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। চাকরিতে নিয়োগ না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব বলে হুশিয়ারি দেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজারকে লক্ষ্য করে।